বাবা মারা গেলে ৪০ দিন মায়ের কাছে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২৩
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আলেয়া চৌধুরী/ ছবি- জাগো নিউজ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবনের পুরোটা সময় ব্যয় করেছেন দেশ ও মানুষের কল্যাণে। তবে এত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালনে কখনো অবহেলা করেননি। নিজের পরিবারের প্রতি তার দায়িত্ববোধের চিত্র ফুটে ওঠে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ছোট বোন আলেয়া চৌধুরীর বক্তব্যে।

আলেয়া চৌধুরী বলেন, আমার বড় ভাই (ডা. জাফরুল্লাহ) পরিবারের সব ভাই-বোনের খেয়াল রাখতেন। আমাদের অনেক ভালোবাসতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর মেডিকেলে পড়ার সময় তিনি ৪০ দিন মায়ের কাছে ছিলেন।

আরও পড়ুন: নিভৃতচারী দেশপ্রেমিকের নীরব প্রস্থান 

বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও ডায়ালাইসিস সেন্টারে সাংবাদিকদের কাছে স্মৃতিচারণ করেন আলেয়া চৌধুরী। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চার ভাই ও পাঁচ বোন। সবমিলিয়ে তারা ১০ ভাই-বোন।

সাংবাদিকদের আলেয়া চৌধুরী বলেন, বড় ভাই (ডা. জাফরুল্লাহ) আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন। তিনি আমার এইচএসসি পরীক্ষার ফি দিয়েছিলেন। আমার পড়াশোনার খেয়াল রাখতেন সবসময়। ১৯৬৪ সালে তিনি এমবিবিএস পাস করেন। এর মধ্যেও তিনি পরিবারের খোঁজ-খবর নিতেন। আমার হোস্টেলের খরচ চালাতেন, নতুন জামাকাপড় কিনে দিতেন। আমাদের সব ভাই-বোনদের অসম্ভব ভালোবাসতেন।

আরও পড়ুন: ছেঁড়া প্যান্ট পরেন ডা. জাফরুল্লাহ, শার্টের বয়স ৩০ বছর 

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের কাছে অনুরোধ, আমার ভাইয়ের স্বপ্ন সার্থক করতে চাইলে আপনারা সবাই সৎ থাকবেন, শিক্ষিত হবেন, সংগ্রামী হবেন। আপনারা সবাই দেশকে ভালোবাসলে ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে। এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন তার বোন।

ডা. জাফরুল্লাহর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। তার বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। পিতামাতার দশ সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টায় ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এএএম/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।