সাশ্রয়ী দামে পছন্দের কেনাকাটায় রাজধানী সুপার মার্কেট

ইসমাইল হোসাইন রাসেল
ইসমাইল হোসাইন রাসেল ইসমাইল হোসাইন রাসেল
প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৩
সাশ্রয়ী দামে কেনাকাটার জন্য জনপ্রিয় রাজধানী সুপার মার্কেট/জাগো নিউজ

ঢাকার টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেট। যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, ধোলাইপাড়সহ আশপাশের এলাকার মানুষের কেনাকাটার অন্যতম পছন্দের স্থান। সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের পোশাকের ক্ষেত্রে জুড়ি নেই রাজধানী মার্কেটের। নামি-দামি ব্র্যান্ড আর সুপারশপের ভিড়ে ক্রেতা কমলেও সাশ্রয়ী দামে পোশাক বিক্রি করে টিকে আছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।

মার্কেটটি ঘুরে দেখা যায়, ছোট-বড় সবার জন্য সব ধরনের পোশাক পাওয়া যায় এখানে। ব্র্যান্ডের পোশাকে একদামের বিষয় থাকলেও এখানে সে জটিলতা নেই। অনায়াসেই নিজের পছন্দের পোশাকটি দামাদামি করে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতার সন্তুষ্টিতেই বেচাকেনা জমজমাট এ মার্কেটে।

আরও পড়ুন>> ভরা মৌসুমে ক্রেতাশূন্য নান্নু মার্কেট

যাত্রাবাড়ী থেকে মাহিয়া আক্তার সোমা এসেছেন কেনাকাটা করতে। সন্তানের জন্য দুটি পোশাক কিনেছেন তিনি। নিজের জন্য কিনতে এসেছেন থ্রিপিস। জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আসলে পোশাকের দাম তো সব জায়গায় এখন আগের চেয়ে বেশি। ব্র্যান্ডের পোশাকের দাম আরও বেশি। সেই তুলনায় এখানে কম দামে কিনতে পারি। তাই এখানেই আসি। বাচ্চার জন্য দুটি ফ্রক নিলাম, একটার দাম নিয়েছে ৫০০ টাকা আরেকটি ৬৫০ টাকা। ব্র্যান্ডে বা বড় সুপারশপে গেলে হয়তো এই দামে কেনা সম্ভব হতো না, কারণ সবার সামর্থ্য তো এক নয়। কিন্তু এখানে এসে নিজের বাজেট মতো কিনতে পারছি।

৫০০ টাকা থেকে শুরু থ্রিপিসের দাম

তাইফা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মশিউর রহমান বলেন, আমাদের এখানে ৫০০ টাকা থেকে চার হাজার টাকা দামের থ্রিপিস রয়েছে। তবে ৮শ থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা দামের থ্রিপিস বেশি চলে। এবার সুতির ড্রেস বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমাদের বুটিক্সের আইটেম। এই আইটেমের হালকা কাজের পোশাক ৮শ থেকে ১ হাজার ২শ টাকায় বিক্রি করছি। আর ভারী কাজ থাকলে সেটি বিক্রি করছি দুই হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ টাকায়।

‘মানুষ এখন সিম্পল কাজ বেশি পছন্দ করছে। তাই কম দামের পোশাকই বেশি চলছে। অন্য মার্কেটে যেসব পোশাক সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করে আমাদের এখানে সেসব পোশাক ২ হাজার ২শ থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা পাওয়া যাবে। একদিনে আমাদের ৫০ হাজার টাকা থেকে কম বেশি বিক্রি হয়।’

আরও পড়ুন>> ঈদের কেনাকাটায় ব্যাংক কার্ডে ছাড়ের হিড়িক

ফ্যাশন সিটির কর্মচারী সাকিব শেখ বলেন, আমরা পার্টি ড্রেস বিক্রি করি। এখন নাইরা কাটের ড্রেসগুলো বিক্রি করছি সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকায়। গাউন বিক্রি করছি তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়। গারারা পোশাক বিভিন্ন কোয়ালিটি অনুযায়ী ২ হাজার ৫শ থেকে চার হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এবার সবচেয়ে বেশি চলছে নাইরা কাট ড্রেস।

সুমি ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মাসুদ পারভেজ বলেন, আমরা রেডিমেড থ্রিপিস, শিশুদের ড্রেস ও টপস বিক্রি করি। এখানে যে ড্রেস ১ হাজার ৮শ টাকায় আছে সেটা অন্য মার্কেটে মিনিমাম ২ হাজার ৮শ টাকায় বিক্রি করবে। ভারতীয় চুনড়ি ২ হাজার ৭শ টাকা, বুটিক্স থ্রিপিস ১ হাজার ৫শ থেকে দুই হাজার টাকা, বুটিক্স নরমাল ৮শ থেকে ১ হাজার ২শ টাকা দামে বিক্রি করছি। ফেব্রিক্সের ওপর মূলত দামের পার্থক্যটা হয়, কোয়ালিটি যেমন দামও তেমন। বাচ্চাদের নাইরা পার্টি ফ্রক দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা, বাচ্চাদের গাউন ১ হাজার ৩শ থেকে ১ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করছি। আমরা এক-দুইশ টাকা লাভে বিক্রি করি, তাই দাম এখানে অনেক কম।

স্বামীকে নিয়ে নিজের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে এসেছেন পারুল আক্তার। অনেকগুলো দোকান ঘুরে পেয়েছেন পছন্দের পোশাক, দামও সাধ্যের মধ্যে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক ঘণ্টা ঘুরে একটা ড্রেস পছন্দ হলো। দোকানদার ২ হাজার ২শ টাকা চেয়েছিল, আমি ১ হাজার ৫শ বলেছি, দিয়েছেন। পছন্দের পোশাক একটু বেশি দাম দিয়ে কিনলেও ভালো লাগে। তবে এখানে পোশাকের দাম তুলনামূলক কম। বাসা যেহেতু এদিকে আমরা তো আর নিউমার্কেট যেতে পারি না, সেজন্য এখান থেকেই কেনাকাটা করি।'

তিনশ থেকে ১৫শ টাকায় মিলবে শিশুদের পোশাক

রিমু ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মো. হারুন জাগো নিউজকে বলেন, এবছর বেচাকেনা অনেক কম। শিশুদের ফতুয়া, শার্ট, গেঞ্জি বিক্রি করি। আমাদের এখানে যারা সিম্পল এবং কম দামে কেনাকাটা করে তাদের শিশুদের জন্য পোশাক রয়েছে। ছেলেদের জন্য গেঞ্জি সেট আড়াইশ থেকে ৭শ টাকা। মেয়ে শিশুদের জন্য লেডিস ফ্রক, স্কার্ট আছে। সুতির নরমাল ফ্রক ৫শ থেকে ৮শ টাকায় বিক্রি করছি। আর স্কার্ট ৫শ থেকে ১ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করি। এছাড়াও একেবারেই ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে সুতির ভালো মানের ড্রেস নিলে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ টাকায় বিক্রি করছি।

আরও পড়ুন>> তালতলা মার্কেটে বেশি চাহিদা ছোটদের পোশাকের

নিহন ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জনি বলেন, গত বছরের তুলনায় সবকিছুর দাম বেড়েছে। এক থেকে দুই বছরের শিশুদের সুতির পোশাক তিনশ থেকে শুরু করে ছয়শ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মেয়েদের পার্টি ফ্রক বিক্রি করছি ১ হাজার ২শ থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা। শিশুদের অন্য ফ্রক ৫শ থেকে ৬শ টাকায় বিক্রি করছি। আর ছেলে শিশুদের জন্য ৫শ থেকে ১ হাজার ২শ টাকায় গেঞ্জি সেট, শার্ট সেট বিক্রি করছি। আমাদের সব আইটেমই ভালো চলে। কাস্টমার ভালো থাকলে একদিনে এক লাখ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। কিন্তু এখন তো কাস্টমার কম, তাই বিক্রি কম।

চারশ টাকা থেকে শুরু শার্ট বিক্রি

খান শার্টের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ কাওসার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এখানে চারশ থেকে সাতশ টাকা পর্যন্ত দামের শার্ট পাওয়া যায়। এখানে যে শার্টগুলো ৫শ বা সাতশ টাকায় বিক্রি করি অন্য শোরুমে গেলে আরও বেশি দাম রাখবে। অরবিন্দু শার্টটা এখানে ভালো চলে, দামও এটার বেশি। অরবিন্দু শার্ট ৫শ থেকে ৭শ টাকায় বিক্রি করি। এই শার্টের কাপড়টা সুতি এবং মানুষ পরে আরাম পায়। আরমানি শার্টের দাম ৪শ থেকে ৫শ টাকা।

আজিজ ফ্যাশনের কর্মচারী পলাশ খান বলেন, ফরমাল শার্ট ৮শ থেকে এক হাজার টাকা, ক্যাজুয়াল শার্ট ৫শ থেকে ৬শ টাকায় বিক্রি করছি। শিশুদের শার্ট চারশ থেকে ৬শ টাকা। গেঞ্জি চায়না প্রোডাক্ট ৬শ থেকে ৭শ টাকায় বিক্রি করছি। পোলো টিশার্ট ৬শ থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা।

আরও পড়ুন>> রেডিমেড কাপড়ে ঝোঁক মানুষের, দর্জিপাড়ায় মন্দা

বিথী প্যান্ট হাউজের শহিদুল ইসলাম বলেন, প্যান্টের দাম এখানে ৬শ টাকা থেকে ১ হাজার ২শ টাকা। জিন্সের প্যান্ট বেশি বিক্রি হয়, তবে ইদানীং গ্যাবাডিন প্যান্টও ভালো বিক্রি হচ্ছে। মূলত এখানে যারা কিনতে আসেন তাদের যেসব প্যান্ট দেখে ভালো লাগে সেটাই নেন, তারা কোনো ব্র্যান্ড দেখেন না। জিন্সের মতো গ্যাবাডিনও ৬শ থেকে ১ হাজার ২শ টাকায় বিক্রি হয়।

নবাব পাঞ্জাবির কর্মচারী মুকুল হোসেন বলেন, আমাদের এখানে দেশি-বিদেশি সব ধরনের পাঞ্জাবি আছে। এখানে ভারতীয় যে পাঞ্জাবিগুলো আছে ১ হাজার ২শ থেকে ২ হাজার ৮শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দেশি পাঞ্জাবি সর্বনিম্ন ৬শ থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা। সব ধরনের পাঞ্জাবি এখানে ভালো বিক্রি হয়।

৩শ থেকে ১৫শ টাকায় মিলছে পছন্দের জুতা

জারা স্যু কর্নারের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ হোসেন জয় জাগো নিউজকে বলেন, ছেলেদের জুতা ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৫শ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মেয়েদের জুতা বিভিন্ন ডিজাইনের ৩শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা। আমাদের এখানে মেয়েদের জুতা বেশি চলে। মূলত ৫শ থেকে ৭শ টাকা মূল্যের জুতায় ক্রেতাদের বেশি আকর্ষণ থাকে।

আরও পড়ুন>> শপিংমল ক্রেতাশূন্য, জমজমাট ফুটপাত

আফসানা স্যুজ’র স্বত্বাধিকারী বিল্লাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা শিশু ও বড়দের জুতা বিক্রি করি। শিশুদের জুতা তিন থেকে ছয়শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়দের ক্ষেত্রে মেয়েদের জুতা ৩শ থেকে শুরু করে ৮শ টাকা। ছেলেদের জুতাও এমন দামেই বিক্রি করি। আমাদের এখানে সব জুতাই চলে।

আড়াইশ টাকায় মিলবে লুঙ্গি

সামি লুঙ্গি স্টোরের স্বত্বাধিকারী বাবুল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, লুঙ্গি সর্বনিম্ন ২৫০ থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরির আছে। কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়। গামছা-টাওয়েল ৬০ থেকে শুরু করে ১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। সেন্ডো গেঞ্জি ৮০ থেকে ১৫০ টাকা, আন্ডারওয়্যার ১২০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছি। সাধারণত দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারি। আর ঈদে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়।

ডেমরা লুঙ্গি সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ হাবীব জাগো নিউজকে বলেন, আমরা শুধু লুঙ্গি, গামছা আর সেন্ডো গেঞ্জি বিক্রি করি। এখানে ২৬০ থেকে ২ হাজার ৮শ টাকার লুঙ্গি আছে। আমানত শাহ লুঙ্গি বেশি চলে। গামছা একশ থেকে দুইশ টাকায় বিক্রি করি। গত শনিবার বিক্রি করেছি ৪০ হাজার টাকা, শুক্রবার আরও বেশি বিক্রি করতে পেরেছি।

সুতি শাড়ির চাহিদা বেশি

নুসরাত শাড়ির স্বত্বাধিকারী মো. সজীব জাগো নিউজকে বলেন, জাকাতের জন্য সুতির প্রিন্ট শাড়ির দাম ৫৫০ টাকা। এটাই সর্বনিম্ন দাম আমার দোকানে। আবার ভারতের কাতান শাড়ি বিক্রি করছি পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকায়। তাঁতের শাড়ি বিক্রি করছি এক হাজার থেকে ১ হাজার ২শ টাকায়। হাফ সিল্কের শাড়ি ১ হাজার ৫শ থেকে ১ হাজার ৬শ টাকা, আর ফুল সিল্ক ১ হাজার ৮শ থেকে দুই হাজার টাকা। সুতির কাপড় এক হাজার থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করি, এই শাড়িটাই বেশি চলে। এছাড়াও সুতির প্রিন্ট কাপড় ৭শ থেকে ৮শ টাকা যেগুলো বিক্রি করি সেগুলোও এবার ভালো চলছে।

বোরকা বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, ২০ থেকে ২২ রোজার পর একটু বিক্রির চাপ থাকে। আমার এখানে ৬৫০ থেকে চার হাজার টাকার বোরকা আছে। তবে কম দামিটা বেশি চলে। দুই হাজার ২ হাজার ২শ টাকার প্রোডাক্টও ভালো বিক্রি হয়।

একশ টাকায় সিটি গোল্ডের চুড়ি
আয়াত কসমেটিকসের কর্মচারী মো. রবিন বলেন, চুড়ির দাম আগের চেয়ে বেশি। গোল্ড প্লেটেড আর সিটি গোল্ডটাই চলে। সিটি গোল্ডের নরমাল চুড়ি একশ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। গোল্ড প্লেটেড চুড়ি বিক্রি হয় ৪শ থেকে ৪৫০ টাকা। সেট চুড়ির ক্ষেত্রে ২৫০ থেকে শুরু করে ৫শ টাকা দামের পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি চলে নিয়মিত ব্যবহারের জন্য নরমাল চুড়ি। ভারতীয় কানের দুলের ক্ষেত্রে তিনশ থেকে সাতশ টাকার প্রোডাক্ট আছে। আর চায়নিজগুলো দেড়শ থেকে দুইশ টাকায় পাওয়া যায়। গহনার সেট ৫শ থেকে আট হাজার টাকা। সর্বনিম্ন পার্ল সেটের দাম ৫শ টাকা থেকে শুরু। আর ব্রাইডল সেটের দাম পড়ে আট হাজার টাকা।

ফ্যাশন জুয়েলারি দোকানের কর্মচারী মো. সোহাগ বলেন, কায়োভা চুড়ি আড়াইশ টাকা জোড়া, পাথরের চুড়ি ৩৫০ টাকা (চারটি) বিক্রি করি। পাথরের চুড়ি এখানে বেশি চলে। সর্বনিম্ন সিটি গোল্ডের চুড়ি একশ টাকায় বিক্রি করা হয়। এছাড়াও কায়োভার আরেকটি উন্নতমানের চুড়ি রয়েছে, যেটি বিক্রি হচ্ছে ৫শ টাকায়।

আইএইচআর/এএসএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।