বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড
কুড়িয়ে পাওয়া পোশাকে ছিন্নমূলরাও এখন ‘ব্যবসায়ী’
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ওই এলাকার কয়েকটি মার্কেট। অগ্নিকাণ্ডের পর চারদিন পার হলেও এখনো ধোঁয়া উড়ছে কোথাও কোথাও। ভয়াবহ এ আগুনে বঙ্গবাজার এলাকার চারটি মার্কেট পুড়ে গেছে। তবে এনেক্সকো টাওয়ার পুরোপুরি পুড়ে না গেলেও অধিকাংশ দোকানের মালামাল পুড়ে যায়। ওইসব দোকান থেকে কিছু মালামাল বের করা গেলেও বেশিরভাগই পুড়ে গেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর মার্কেটের ধ্বংসস্তূপ থেকে পুড়ে যাওয়া বা অক্ষত থাকা পোশাক কুড়িয়ে নেন অনেকেই। সেসব পোশাক রোদে শুকিয়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে কাউকে কাউকে।
আরও পড়ুন: আজ পরিষ্কার হলে কালই বঙ্গবাজারে বসতে পারবে দোকান
শনিবার (৮ এপ্রিল) মহানগর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ছোট টং দোকানে এসব পোশাক বিক্রি করতে দেখা যায় অনেককেই। এছাড়াও গুলিস্তান ফ্লাইওভারের নিচে কয়েকটা স্থানেও কেউ কেউ বিক্রি করছেন এসব পোশাক।
রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে বলেন, বঙ্গবাজারে আগুন লাগার পর খুব বেশি কাপড় বের করে আনতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। ওই সময় যারা অন্যের দোকানের পোশাক টোকানোয় ব্যস্ত ছিলেন তারা এখন দোকান নিয়ে বসেছেন। প্রকৃত ব্যবসায়ীরাতো এখনো শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
আরও পড়ুন: পঞ্চম দিনেও পোড়া মার্কেটে উঠছে ধোঁয়া
টং দোকানে কিছু টি-শার্ট নিয়ে বসেছেন ইয়াসিন। জাগো নিউজকে ইয়াসিন বলেন, অনেক ব্যবসায়ীর মালামাল বের করে আনতে সহযোগিতা করায় তারা কিছু পোশাক দিয়েছেন। সেগুলো বিক্রি করছি।
ওসমানী উদ্যানে বেশ কিছু পোশাক শুকাতে দিয়েছেন রোকেয়া। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আগুন লাগার পর আমরা মার্কেটে গিয়ে কিছু মালামাল পেয়েছি। তবে সেগুলোর বেশিরভাগই পোড়া। এর মধ্যে থেকে যেগুলো কিছুটা ভালো ছিল সেগুলো শুকাতে দিয়েছি। শুকিয়ে গেলে বিক্রি করবো।
গত মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৪৮টি ইউনিট কাজ করেছে। ভয়াবহ এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে এনেক্সকো টাওয়ার ও মহানগর মার্কেটে। এখনও সেখান থেকে ধোঁয়া উড়ছে।
আরও পড়ুন: সরানো হচ্ছে পুড়ে যাওয়া মালামাল
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পান তারা। এরপর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। পাশাপাশি হেলিকপ্টারে আগুন নেভানোর কাজ করে সেনাবাহিনী, যোগ দিয়েছিল নৌবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
ইএআর/কেএসআর/জেআইএম