বিএনপি পবিত্র সংসদকে অপবিত্র করে: শাজাহান খান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২৩

সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, জাতীয় সংসদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া, তার স্মৃতিধন্য। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে প্রত্যক্ষভাবে হত্যা করেছিল, তাদের এই সংসদে এনে বসিয়েছিল বিএনপি। তাদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিল, যাদের হাত বঙ্গবন্ধুর রক্তে রঞ্জিত। বিএনপি এভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সংসদে এনে পবিত্র সংসদকে অপবিত্র-কলুষিত করেছিল।

শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন।

শাজাহান খান বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন অপ্রতিরোধ্য মহামানব। তিনি সাচ্চা দেশপ্রেমিক, বাঙালি জাতির হৃৎপিণ্ড। তিনি অকুতোভয় সৈনিক, তিনি দানবীর, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। তিনি যদি জীবিত থাকতেন তাহলে তিনিই হতেন বিশ্বের অবহেলিত, মেহেনতি মানবতার মূর্তপ্রতীক, যা ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিও বলেছিলেন।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন: শাজাহান খান

শাজাহান খান বলেন, বিএনপি বর্তমানে বাকস্বাধীনতার কথা বলছে, গণতন্ত্রের কথা বলছে। কিন্তু ২০১৪-১৫ সালে তারা গণতন্ত্রের জিগির তুলে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অগ্নিসন্ত্রাস করে। শত শত মানুষকে হত্যা করে, পুড়িয়ে-কুপিয়ে মারে। তারা এভাবে শ্রমজীবী, সাধারণ মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিজয় লাভ করে বাড়ি ফেরার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ তা হতে দেয়নি। বিজয় দূরের কথা, মাথা নিচু করে তাকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে বাকস্বাধীনতা ছিল না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল না।

আরও পড়ুন: বিএনপি রাজনীতির সূত্র বোঝে না: শাজাহান খান

তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশ নিন। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে, তাদের নেতৃত্বে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আপনারা অংশ নিয়ে জনগণের ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসুন। অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই।

এইচএস/এমএইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।