রেলে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী চীন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০২৩
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

বাংলাদেশ রেলওয়েতে চীন আরও বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রেল ভবনে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই কথা জানান রাষ্ট্রদূত। এদিন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।

সাক্ষাৎকালে ইয়াও ওয়েন বলেন, চীনের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর পাশাপাশি পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প হচ্ছে। বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে চীনের ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত এ সময় জানান, বাংলাদেশে রেলওয়ের উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করতে চীন আগ্রহী।

চীনের অর্থায়নে অপেক্ষমাণ নির্মাণাধীন আখাউড়া -সিলেট এবং জয়দেবপুর-জামালপুর ডাবল লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে নেগোসিয়েশন দ্রুত শেষ করার তাগাদা দেন তিনি। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড লাইন নির্মাণ বিষয়ে চীনের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন অংশীদার। চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়েতে এখন পদ্মা সেতু রেল সংযোগসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান আছে।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, রেলওয়ে একসময় অবহেলিত ছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে রেলওয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বঙ্গবন্ধু সেটি পুনরায় স্থাপন করেন। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেন। তারপর থেকে রেলের উন্নয়ন হচ্ছে।

তিনি বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন। বর্তমানে ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যই রেলের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ এবং মিটার গেজ দ্বারা বিভক্ত। আমরা পুরোটাই ব্রডগেজে রূপান্তর করার চিন্তা করছি এবং সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিঙ্গেল লাইনকে আমরা ডুয়েলগেজ করছি। চীন আমাদের অনেক প্রকল্পে সাহায্য করছে এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের কাজ চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেন শেষ করে এই অনুরোধ জানানো হয় বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে। কারণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই কাজ করতে আগ্রহী নয়।

সাক্ষাৎকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএসএম/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।