বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড

আগুন নির্বাপণে এখনো কাজ করছে ১২ ইউনিট: ফায়ার ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০২৩

বঙ্গবাজারে লাগা আগুন নির্বাপণে এখনো ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১টায় অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

মাইন উদ্দিন বলেন, এনেক্সকো টাওয়ারের ৫ ও ৬ তলায় গোডাউন রয়েছে। সেখানে এখনো মাঝে মাঝে আগুন দেখা যাচ্ছে। সেখানে ফায়ার সদস্যরা কাজ করছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের জন্য প্রত্যেকটা স্থাপনাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা গ্রুপে গ্রুপে ভাগ করে, এক একটা গ্রুপ এক এক জায়গায় কাজ করেছি। একসঙ্গে একশ ফায়ার ফাইটার জড়ো হলেও সেটা কাজের জন্য কিন্তু অন্তরায়। আপনারা দেখেছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টারে একটি তিনতলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পাশেই এনেক্সকো টাওয়ারের বর্ধিত ভবন সেটি কিন্তু পুড়েনি। সেটা কিন্তু আমরা রক্ষা করেছি।

প্রতিবারই আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস থেকে পানি সংকটের বিষয়টি সামনে আসে কেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থা আপনারা জানেন। আমরা রাজউক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বসে বিএমডিসি (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) কোর্ট যেন মেনে চলার ব্যবস্থা করা যায়, সেটা করবো।

তিনি বলেন, একটি পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য ওয়াটার হাইড্রেন থাকা জরুরি, অগ্নিনির্বাপণের জন্য অতীব জরুরি। ঢাকা শহরে মিল-কারখানা ছাড়া কোথাও ওয়াটার হাইড্রেন নেই বললেই চলে।

মহাপরিচালক বলেন, রাজধানী সুপার মার্কেট ও গাউছিয়া মার্কেটসহ ঢাকায় বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট রয়েছে। আমরা বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) থেকে এসব মার্কেটে সার্ভে শুরু করবো। এসব মার্কেটে বিএমডিসি কোর্ট অনুযায়ী প্রবেশ কিংবা বাইর হওয়া এবং অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা থাকার কথা, আমার কাছে আপাতত দৃষ্টিতে তাই মনে হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ। মার্কেটের মালিকপক্ষকে নিয়েই এ সার্ভে করা হবে এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। আগুন নেভাতে সকাল থেকে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। এরপর সেখানে নির্বাপণ কাজে যোগ দেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যসহ র‌্যাব, বিজিবি ও ওয়াসার সদস্যরা।

অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডে কারও প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলেও উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিসের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মার্কেটের অধিকাংশ দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে। ঈদ ঘিরে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ব্যবসায়ীদের অনেকে জানিয়েছেন, তারা ঈদ সামনে রেখে ঋণ ও ধারদেনা করে দোকানে নতুন মালামাল তুলেছিলেন। আগুন লাগার ঘটনায় তাদের অনেকে নিঃস্ব।

আরএসএম/এমএএইচ/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।