মোংলা বন্দরে বছরে অতিরিক্ত ১০০ জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের উদ্যোগ
মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে। এ কারণে প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ছে। এ ছাড়া ড্রেজিংয়ের পরিমাণ, ডাইকের পরিমাণ, জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে আয়কর বাবদ ব্যয় বাড়ছে। এর ফলে ১০০টির মত জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ রাজস্ব অর্জিত হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ মূল অনুমোদিত প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল ৭৯৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে। এখন প্রথম সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পের নতুন করে ২০২৪ সালের জুন নাগাদ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
আরও পড়ুন> মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্প: ব্যবস্থাপনা পরামর্শক চুক্তি সই
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে মোংলা বন্দরের জেটিতে সাড়ে ৯ থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং করা এবং জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য পশুর চ্যানেলের গভীরতা ৮ দশমিক ৫ মিটার (ক্লিয়ার ড্রাফট) অর্জনের লক্ষ্যে ২৩৭ দশমিক ৫৫ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা।
আরও পড়ুন> গাড়ি আমদানিতে মোংলা বন্দরের রেকর্ড
প্রকল্পটির প্রধান কাজ হবে ১ হাজার ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া। ১৭৭.৩৭ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং কাজ করা কাটার সাকশান ড্রেজার দিয়ে। ৬০ দশমিক ১৮ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা ট্রেইলিং সাকশান হপার দিয়ে। ৩০ দশমিক ৭০ লাখ ঘনমিটার ডাইক নির্মাণ ও এক লাখ ঘনমিটার জিয়োটিউব ডাইক নির্মাণ করা।
আরও পড়ুন> পদ্মা সেতুর সুফল/মোংলা বন্দর হয়ে ঢাকার গার্মেন্টস পণ্য যাচ্ছে পোল্যান্ডে
পরিকল্পনা কমিশনের মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরের জেটিতে ৯.৫-১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং এর জন্য প্রয়োজনীয় গভীরতা পাওয়া সম্ভব হবে। ফলে বার্ষিক অতিরিক্ত ১০০টির মত জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ রাজস্ব অর্জিত হবে। এছাড়া, বন্দরের বর্ধিত চাহিদার জন্য মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
এমওএস/এসএনআর/জেআইএম