ব্যবসায়ীরা কেউ দেখছেন পুড়ে যাওয়া দোকান, কেউ গাড়িতে তুলছেন মালামাল
রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশের ব্যবসায়ীরা পুড়ে যাওয়া দোকানের দিকে তাকিয়ে দেখছেন। পুড়ে যাওয়া দোকান দেখে ভেঙে পড়তে দেখা যায় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে। তাদের কয়েকজনকে এনেক্সকো ভবনের দোকান থেকে বের করা মালামালের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। এদিকে এনেক্সকো মার্কেটের ব্যবসায়ীরা আগুন থেকে বেচে যাওয়া ও বাচানোর জন্য মালামাল বের করার চেষ্টা করছেন।
এদিকে আগুনের ১৮ ঘণ্টা পরও নিভে নিভে আগুন জ্বলছে বঙ্গবাজারে। মহানগর মার্কেট ও পিছনের একটি ভবনে এখনো আগুন চোখ রাঙাচ্ছে। রাত ১২টার দিকে এ দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের পূর্ব দিকের অংশের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো পুরোপুরি নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীরা। মহানগর মার্কেটের দক্ষিণে ও এনেক্সকো মার্কেটের পূর্ব দিকের অংশের আগুন নিভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের একদিকে নিভানোর পর আরেকদিকে ফুঁসে উঠছে আগুন। পুলিশ কোয়াটারের দিকে এখনো আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম রেল পরিদর্শন ভবনের দিক থেকে পানি নিক্ষেপ করছে।
এনেক্সকো ভবনের ওপরে এখনো ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। তারা তাদের দোকানে রয়ে যাওয়া মালামাল বস্তাবন্দি করে নিচে ফেলছেন। নিচ থেকে ভ্যানে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী ও তাদের সহযোগীরা। উত্তর দিকের সিড়ি বেয়ে মালামাল নিচে নামাচ্ছেন দোকানের কর্মচারী ও কুলিরা। বাইরে সারিবদ্ধভাবে থাকা ট্রাক, ভ্যানে একেএকে গুনে বস্তা তুলছেন ব্যবসায়ীরা।
বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল হক মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, আমার দোকান পুড়ে ছাই। আগুন লাগার জায়গা থেকে অনেক দূরে ছিল। ফায়ার সার্ভিস ঠিক সময়ে কাজ করতে পারলে আমার দোকান পুড়তো না। দোকানে ৮ লাখ টাকার মাল ছিল। সব শেষ। এখন যদি আমাকে আগের দোকানের জায়গা বরাদ্দ দেয় তাহলেও নিজের ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।
এনেক্সকো ভবনের চারতলায় নূপন গার্মেন্টস নামের দোকানের মালিক আবুল হোসেন এনেক্সকো ভবনের উত্তর দিকের সড়কে দাঁড়িয়ে নামিয়ে না মালামাল গুনছেন। ট্রাকে উঠানোর জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমার দোকান পুড়েনি। ওইপাশের দোকান সব পুড়ে গেছে। এখন মালামাল সরাচ্ছি। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। মানুষও সহযোগিতা করছে।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এমআইএইচএস