‘এখন মাল নিমু কই, জানি না’
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৪ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৩
‘থাকি ভাড়া বাসায়। নিজেরই থাকার জায়গা হয় না। যতটুকু মাল দোকান থেকে বের করেছি, সেটা এখন নিমু কোথায়, কিছু জানি না!’
এভাবেই হাহুতাশ করছিলেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। এক স্বজনকে ফোনে তার অবস্থার কথা বলছিলেন। গুলিস্তানে এনেক্স ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে তার দোকান। দোকানের নাম ‘এনএম হাউজ’। বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ভবনে থাকা ব্যবসায়ীদের মালামাল। কেউ কেউ মালামাল সরিয়ে নিতে পারলেও এগুলো নিরাপদে রাখা নিয়ে পড়েছেন বিপদে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার দোকান এনেক্সের আন্ডারগ্রাউন্ডে। সেখান থেকে মালামাল বের করা হয়েছে। এখন এসব কোথায় নেবো জানি না। বেশ কয়েকজন মহাজনের সঙ্গে কথা বললাম। তাদের গোডাউনে জায়গা নেই। আবার কোনো বাসায় নিলেও হবে না। অনেক মাল ভেজা। না শুকালে পুরাই নষ্ট হয়ে যাবে। কোথায় নেবো, কি করবো, কিছুই বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন, এনেক্স থেকে মালামাল বের করা গেছে। এখানে পাঁচ-ছয় তালা ছাড়া কোনো ফ্লোর পুড়ে নাই। কিন্তু পানিতে নষ্ট হয়েছে সব মালামাল। এখনো পানি দিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ধোঁয়ায় ভেতরে টেকা যাচ্ছে না।
শুধু আনোয়ার নয়, তার মতো হাজার হাজার ব্যবসায়ী মালামাল নিয়ে এখন রাস্তায় অবস্থান করছেন। এসব নিরাপদে রাখার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। আবার কেউ কেউ তো আগুনে একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন। তাদের দোকানের চিহ্নটুকু নেই।
এর আগে বঙ্গবাজারে মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৫০টি ইউনিট সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পাশাপাশি সেনা ও বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল, নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল ও একটি হেলিকপ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়। কিন্তু ততক্ষণে বঙ্গবাজারসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি মার্কেটের চার হাজারের বেশি ব্যবসায়ীর মালামাল পুড়ে যায়।
এনএইচ/জেডএইচ/এমএস