‘ভাবছিলাম ঈদে ভালো ব্যবসা হবে, আগুনেই সব শেষ’
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০২৩
আগুন লাগার খবর পেয়েই ছুটে এসেছি। আগুনের অবস্থা খারাপ দেখে দোকান থেকে মালামাল বের করা শুরু করি। একা সব মালামাল বের করতে কষ্ট হচ্ছিল। পরে দোকানের কর্মচারীরা আসে। প্রায় ৬০ শতাংশ মালামাল বের করতে পেরেছি। বাকি মালামালে এখন আগুন জ্বলছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কথাগুলো বলছিলেন মহানগর শপিং কমপ্লেক্সের দোকানি ইমদাদ সরদার।
তিনি বলেন, দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পরও ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। আগুন বঙ্গবাজার থেকে অ্যানেক্সকো টাওয়ারে ছড়ায়। সেখান থেকে মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে ছড়িয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কিছুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। এটা ফায়ার সার্ভিসের ব্যর্থতা।
অ্যানেক্সকো টাওয়ারের চতুর্থ তলা থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত গোডাউন রয়েছে জানিয়ে ওই মার্কেটের দোকানি নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, অ্যানেক্সকো মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় তার শাড়ির দোকান রয়েছে। দোকানের মালামাল নামাতে পেরেছি। কিন্তু মার্কেটের ছয়তলায় গোডাউন থেকে কোনো মালামাল নামাতে পারিনি। আগুনে হয়তো সব পুড়ে গেছে।
ওসমানী উদ্যানের সামনে রাখা মালামাল পিকআপে তুলছিলেন মহানগর শপিং কমপ্লেক্সের দোকানি নাজমুল।
তিনি বলেন, মহানগর শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলায় ছয় মাস আগে জিন্সের প্যান্ট এবং টি-শার্টের দোকান চালু করেছিলাম। দোকানে প্রায় সাত লাখ টাকার মালামাল ছিল। ভাবছিলাম সামনে ঈদে ভালো বেচাকেনা হবে। কিন্তু এর মধ্যে আগুনে সব শেষ। দোকান থেকে ৫০-৬০ শতাংশ মালামাল বের করতে পেরেছি। বাকি মালামালে আগুন জ্বলছে। বড় ক্ষতির মধ্যে পড়ে গেলাম।
রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন লেগেছে মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন সবগুলো বাহিনীর সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৫০টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে। তাদের সহায়তায় একে একে ঘটনাস্থলে আসেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা।
এমএমএ/এমএইচআর/জেআইএম