পরিস্থিতি সামাল দিতে বেসরকারি খাতে ৫ শতাংশ বেতন বাড়ানো উচিত
দেশের দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি সামাল দিতে বেসরকারি খাতে ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা উচিত। পারলে এই ঈদেই বেতন-ভাতা বাড়ানো যেতে পারে।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বাজেট প্রস্তাববিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলা হয়। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বিষয়টি উত্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: আলু-পেঁপে ছাড়া ৬০ টাকার নিচে সবজি নেই, কমেছে মুরগির দাম
তিনি বলেন, গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে। দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি সামাল দিতে বেসরকারি খাতে ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা উচিত। এছাড়া জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে। তাই সব খাতের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো উচিত।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, গরুর মাংস, চিনি, সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে অনেকে বেশি। সবসময় যে বিশ্ববাজারকে দোষারোপ করবো সেটি নয়। কর কিছুটা কমিয়ে এনে স্বস্তি দেওয়া যেতে পারে। বাজার ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোজায় দাম বেড়েছে তেল-পেঁয়াজ-মসলার
সিপিডি জানায়, দেশে খাদ্যতালিকা থেকে মাছ-মাংস বাদ দিয়ে হিসাব করলে ঢাকায় চারজনের পরিবারে খাদ্যের পেছনে ব্যয় হয় ৭ হাজার ১৩১ টাকা। আর মাছ-মাংস যুক্ত হলে ব্যয় তিনগুণ বেড়ে ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা দাঁড়ায়। এই হিসাব গত ফেব্রুয়ারি মাসের। এক বছরের ব্যবধানে পরিবারপ্রতি খাবার খরচ বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল, মরিচ, হলুদ, আদা, রসুনসহ ১৭টি নিত্যপণ্যের প্রতিদিনের বাজারদর এবং একজন মানুষ গড়ে কী পরিমাণ খাবার গ্রহণ করে এর ওপর ভিত্তি করে এই হিসাব করেছে সিপিডি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে মোট আয়ের ৬০ শতাংশ ব্যয় করতে হয় খাবারের পেছনে।
জেডএইচ/এমএস