একাত্তরের গণহত্যার স্মরণে এক মিনিট অন্ধকার
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের গণহত্যার স্মরণে এক মিনিট অন্ধকারে থাকলো দেশ। শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত আলো নিভিয়ে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হয়।
তবে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি সেবা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল। গত কয়েক বছরের মতো এবারও এক মিনিট আলো নিভিয়ে ভয়াল রাতকে স্মরণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
যদিও অন্যান্য বছরগুলোতে রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত আলো নিভিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু এবার রমজান মাসের কারণে এটি রাত সাড়ে ১০টায় করা হয় বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনায় ছিলেন খাদিম রাজা ও রাও ফরমান আলী
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি স্থাপনায় রঙিন বাতি লাগানো হলেও কালরাতের স্মরণে তা আজ বন্ধ রয়েছে। কারণ ২৫ মার্চ রাতে আলোকসজ্জা না করার জন্য নির্দেশনা ছিল মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বর্বর সামরিক অভিযানের মধ্যদিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী রাতের আঁধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ পুরো ঢাকাজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়।
আরও পড়ুন: ২৫ মার্চের গণহত্যার স্বীকৃতি চাইলেন জয়
এদিকে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আলোচনা হয়। এছাড়া সারাদেশে আয়োজন করা হয় গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা হয়।
ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসে বায়তুল মোকাররম মসজিদে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শনিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনা হয়।
আরএমএম/জেডএইচ/