আশা করবো নির্বাচনে বিএনপি যেন ৩০টির বেশি আসন পায়: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২৩

আগামী নির্বাচনে বিএনপি যেন ৩০টির বেশি আসন পায় সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০০৮ সালে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তারা নির্বাচন করলেও প্রথমে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরে উপ-নির্বাচনে আরও দুটি আসন পায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা বিশাল জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। এ নির্বাচনে তারা প্লেয়ারও হায়ার করেছিল।

ওই নির্বাচনে হেভিওয়েট রাজনীতিক ড. কামাল হোসেনকে তারা হায়ার করেছিল। কিন্তু হায়ারে খেলতে গিয়ে তিনি ভালো খেলেননি। এ বিশাল জোট নিয়ে তারা মাত্র ৭টি আসন পেয়েছিল। বিএনপির জনপ্রিয়তা এর থেকেই স্পষ্ট। আমি আশা করবো আগামী নির্বাচনে তারা যেন ৩০টির বেশি আসন পায়।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি৷

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার বলেছিলেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩০টির বেশি আসন পাবে না৷ ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল সেটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সে নির্বাচনে তারাই ৩০টির বেশি আসন পায়নি। খালেদা জিয়ার সেই ভবিষ্যদ্বাণী তার বেলাতেই কার্যকর হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মির্জা ফখরুলের ভবিষ্যদ্বাণীও যদি তার বেলাতেই সত্য হয় তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মির্জা ফখরুল যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এ ধরনের অবান্তর কথা বলা সমীচীন নয়।

আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনেই যেতে চায় না, সেখানে আসনের প্রসঙ্গ কীভাবে আসে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশে ভোট হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সুতরাং তারা চাইলেও আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে আসতে পারবে না। যেহেতু কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে সেহেতু আশা করবো তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।

এর আগে ড. কামালকে হায়ার করে মাঠে নামিয়েছিল, এবার বিএনপি কার ওপর ভর করতে পারে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আমি তো জ্যোতিষী না, গতবার ড. কামাল হোসেনকে হায়ার করেছিল। তিনি সেখানে ভালো খেলেননি। মাত্র সাতটি আসন পেয়েছিল। এবার দেখা যাচ্ছে তারা রাজনৈতিক টোকাইদের ওপর ভর করেছে। বিভিন্ন দলীয় মোর্চার ওপর ভর করেছে। দলীয় মোর্চা মিলে মনে হয় ৫১-৫২ দল হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আপনারা প্রশ্ন করবেন যে ৫২টি দলের নাম মুখস্ত বলতে। বলতে পারলে আামি তাকে ধন্যবাদ দেবো।

তিনি বলেন, এবার তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা জানে যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। এ জন্য জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ক্ষণে ক্ষণে ধরণা দিচ্ছে। অনেকে বলেছে, তারা বিদেশি কূটনীতিকদের পদলেহন করছে। কিন্তু বিদেশি কূটনীতিকদের পদলেহন করে বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করা যাবে না। কোনো কোনো কূটনীতিকের পদলেহন করে তাদের মন জয় করা যেতে পারে। মানুষের মন জয় করতে হলে তাদের কাছে যেতে হবে।

বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে, তাহলে রাষ্ট্রদ্রোহ কিংবা অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে। রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজের সই করা চিঠি বিভিন্ন রাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের দিয়েছেন। তারা দেশের সাহায্য ও রপ্তানিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চেয়েছে। এগুলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সময়ই বলে দেবে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইএইচআর/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।