বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন বলেছেন, কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। মেঘনা ব্রিজ, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েসহ একাধিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। কিন্তু কোনো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি এখনো। প্রসেস এখন অনেক ধীর। আমরা আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু করতে পারবো।

সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে পিপিপিস ফর ভিশন ২০৪১: প্রাইভেট সেক্টর রোল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটি শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় প্রকল্প শুরু করতে সময় লাগছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোভিডের কারণে সব কিছু ধীর গতিতে চলছে। এখনও প্রক্রিয়ায় ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান এসবে অনভ্যস্ত। নানা জটিলতায় প্রকল্পে কাজ শুরু করতে সময় বেশি লাগছে।

তিনি বলেন, সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার আছে। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক নেতারা সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু বাস্তবায়ন আমলাতান্ত্রিকভাবেই হওয়া উচিত। আমলাতান্ত্রিকতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি লক্ষ্য করা যায়। রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ধীর গতি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রয়েছে উল্লেখ করে এ রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়া এখন এ দেশে ষষ্ঠ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ। আমরা প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার এখানে বিনিয়োগ করছি। যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চায়না ও নেদারল্যান্ডসের পরই আমাদের অবস্থান। ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমরা গার্মেন্টস খাতে বিনিয়োগ করেছি। এতে বোঝা যায় কোরিয়ান কোম্পানি এ দেশের পোশাকখাতে আগ্রহী। আমরা ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিনিয়োগ করছি।

তিনি বলেন, আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের দিকে তাকান, দেখবেন তাদের বেশি বিনিয়োগ জ্বালানি খাতে। একই ভাবে ইংল্যান্ডের বিনিয়োগ ব্যাংকিং সেক্টরে। কোরিয়া সম্ভত ম্যানুফ্যাকচারিং সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। পোশাক ছাড়া বিনিয়োগের জন্য নতুন খাত খোঁজা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। স্যামসাং, হুন্দাইয়েত মতো প্রতিষ্ঠান এ দেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। দেরি হলেও টেলিভিশন ছাড়াও বৈদ্যুতিক ডিভাইস এ দেশে সংযোজন শুরু হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে মোবাইল ফোন সংযোজন শুরু হয়েছে। এছাড়া স্যামসাং এর আরএনডি ও গবেষণার একটি প্রতিষ্ঠান ২০১০ সাল থেকে এখানে রয়েছে। কালিয়াকৈরে হুন্দাই গাড়ির সংযোগ কারখানা স্থাপনা করেছে৷ সেখানে একটি মডেলের গাড়ি সংযোজন হচ্ছে, আগামীতে আরও গাড়ির সংযোজন সেখানে হবে।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয়। সঞ্চালনা করেন পিএমও কার্যালয়ের ডিজি নাফিউল হাসান।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির সিইও মো. মুশফিকুর রহমান, ডিজি মো. আবুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসএম/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।