জ্বালানি খাতে আর কোনো ভর্তুকি দেবে না সরকার: প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রামে যে ছোট ছোট ব্যবসা তৈরি হয়েছে সেটা বিদ্যুতের আলোর কারণে। প্রত্যন্ত গ্রামের বাজার এখন গভীর রাতেও খোলা থাকে। যেখানে এখন রাত ১২টার দিকেও ব্যবসা চলে। এ কারণেই কিন্তু জিডিপির এত বেশি গ্রোথ হচ্ছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যা গ্রোথ হয়েছে তার থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে গ্রামে।
রোববার (১২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এনার্জি সিকিউরিটি: স্ট্রেটেজিক অ্যাপ্রোচ ফর এনার্জি সিকিউরিটি টু এটেইন সাসটেইনেবল গ্রোথ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একটা গ্রামে ১০টা বাড়ি সেখানেও সাবস্টেশন করা হয়েছে। যেখানে ১০০ বছর বিল দিলেও সেটার দাম উঠবে না। তারপরও আমরা সেখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। আমরা সব জায়গায় ব্যবসা দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সবার ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। ক্যাপাসিটি কি পরিমাণ বেড়েছে সেটা জিডিপির গ্রোথ দেখলেই জানা যায়।
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তারা যে দামে জ্বালানি কিনছে সে দামেই বিক্রি করছে। সরকার এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি খাতে আর কোনো ভর্তুকি দেওয়া হবে না। ক্রমান্বয়ে আমরা অ্যাডজাস্টমেন্টে যাবো।
কয়লা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা শুনতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্য দেশ কয়লা সব উঠিয়ে ফেলেছে, আমরা কেন তুলছি না। আমরাও তাদের মতো যে ঝাঁপিয়ে পড়বো সেটা কীভাবে হয়। যেখানে হাজার হাজার একর কৃষিজমি নষ্ট হবে সেই কৃষকদের কি হবে? আমরা যদি সেখানে পাওয়ায় প্ল্যান্ট বানাই কৃষক তো সেখানে কাজ করতে পারবে না। তারা তো বেকার হয়ে যাবে। তাদের জমির টাকা দেবেন দুদিনে তা খরচ করে ফকির হয়ে যাবে। তার ইকোনমির বিষয়টাও আমাদের চিন্তা করতে হয়। সব বিষয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয়।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, বুয়েটের অধ্যাপক ইজাজ হোসাইন, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ।
এসএম/এমআইএইচএস/জিকেএস