কুটির শিল্প বাঁচাতে চট্টগ্রাম বাণিজ্যমেলায় ‘বিদ্যানন্দ’
হারিয়ে যেতে বসা কুটির শিল্প বাঁচাতে পদক্ষেপ নিয়েছে ‘বিদ্যানন্দ’। অপ্রয়োজনীয় ফেলনা জিনিস দিয়ে তৈরি নানা পণ্যের পাশাপাশি চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের কুটির শিল্প নিয়ে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় স্টল দিয়েছে ‘বিদ্যানন্দ’। স্টলটিও সাজানো হয়েছে কুড়িয়ে পাওয়া নানান জিনিস দিয়ে।
নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠের এ মেলার বিদ্যানন্দের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে, পার্বত্য অঞ্চলে কুঠির শিল্পে তৈরি পোশাক, গৃহস্থালী সামগ্রী, ঘর সাজানোর উপকরণ, পাওয়া যাচ্ছে বইও। বিদ্যানন্দ থেকে সদ্য প্রকাশিত নিরক্ষরের গল্পগুচ্ছ বইটিও পাওয়া যাচ্ছে তাদের স্টলে।
মেলায় আসা দর্শণার্থীদের নজর কাড়ছে বিদ্যানন্দের স্টলটি। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীরাই বিদ্যানন্দের স্টলে ঢু মারছেন। অনেকে প্রয়োজনীয় নানা পণ্যও কিনছেন। বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবীরাই মূলত স্টলটি পরিচালনা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া লাভলী বড়ুয়ার সঙ্গে কথা হয় বিদ্যানন্দের স্টলে। তিনি বলেন, বিদ্যানন্দ এখন একটি ব্রান্ডের নাম। তারা অসহায় পীড়িত মানুষের সেবায় কাজ করছে। পাশাপাশি সমাজের নানান অসঙ্গতি নিয়েও কাজ করছেন। এখন কুটির শিল্প বাঁচিয়ে রাখতে তারা পার্বত্য অঞ্চল থেকে কুঠির শিল্পের নানা পণ্য সংগ্রহ করে এনে মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য উপস্থাপন করছেন। মেলায় বেড়ানোর ফাঁকে বিদ্যানন্দের স্টলও ঘুরে দেখলাম। তাদের আইডিয়াগুলো চমৎকার।
বিদ্যানন্দ স্টল ম্যানেজার মোহাম্মদ মোবারক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বাণিজ্য মেলায় স্টল দিয়েছি। মেলায় আমরা একটি মেসেজ দিতে চাচ্ছি। আমাদের কুটির শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্প বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমরা কুটির শিল্প সামগ্রী সংগ্রহ করে মেলায় এনেছি। যারা বানান তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি। পাহাড়ি বিভিন্ন পণ্য সংগ্রহ করেছি। ভাওয়ান থেকে সাওতালদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য আমাদের স্টলে এনেছি। স্টলটিতে বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবীরাই পণ্য বেচাকেনার কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এবার প্রায় ৪ লাখ বর্গফুট জায়গা জুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের ৩০তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলায় ২০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ৯৪টি গোল্ড স্টল, ৪৮টি মেগা স্টল, ১১টি ফুড স্টল, ৩টি আলাদা জোন নিয়ে ৪০০টি স্টল রাখা হয়েছে। যাতে তিনশর অধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। মেলায় ভারত, থাইল্যান্ড ও ইরানের নিজস্ব পণ্য নিয়ে অংশ নিচ্ছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী এ মেলা শুরু হয়।
ইকবাল হোসেন/এমআইএইচএস/এমএস