নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড’ কেনার অনুমোদন
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড’ কেনার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এই ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড কেনা হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড’ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার পাশাপাশি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য দুইটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। দুইটি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে ১৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৭টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুইটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুইটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল।
এই ১৩টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ দুই হাজার ১২১ কোটি ৬২ লাখ ৩ হাজার ৩৯৯ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় এক হাজার ১৮ কোটি ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ১১১ টাকা। দেশীয় ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক ও এআইআইবি অর্থায়ন এক হাজার ১০২ কোটি ৯৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৮ টাকা। ১৩টি প্রস্তাবের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব বাদে বাকি সবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন না পাওয়া প্রস্তাবের জন্য ব্যয় ধরা হয় ১৯৯ কোটি ২২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯২ টাকা।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন পাওয়া আর একটি প্রস্তাব আসে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এ প্রস্তাব হলো, বিআইডিব্লউটিএ কর্তৃক ‘মোংলা থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌরুটের নাব্য উন্নয়ন’ প্রকল্পের ৪টি লটের সংরক্ষণ ড্রেজিং কাজ। এটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা ছিল। এটিও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এমএএস/কেএসআর/জিকেএস