গুলিস্তানে বিস্ফোরণ
মিললো আরও একজনের মরদেহ
রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কুইন টাওয়ার ভবন থেকে মো. মেহেদী হাসান স্বপন (৪০) নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। মেহেদী একটি স্যানিটারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভবনটির নিচতলা থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির ভাই তানভীর হাসান জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পশ্চিম এনায়েতপুর গ্রামে। বাবার নাম গোলাম রব্বানী। বর্তমানে তারা রাজধানীর রামপুরা এলাকায় থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় গতকাল বুধবার দিনগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. মুসা নামে একজনের মৃত্যু হয়। এর আগে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার ১৮ জনের এবং বুধবার দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের নর্থসাউথ রোডে সাততলা ওই ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণে ভবনটির তিনতলা পর্যন্ত পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি ও গৃহস্থালি সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে ভবনটির দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে পড়ে যায়। ভবনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের কয়েকটি ভবনও।
বিস্ফোরণের পরই উদ্ধারকাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার কাজ করেছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে সহায়তা করেন।
আরএসএম/এমকেআর/এএসএম