গুলিস্তানে ভবনে বিস্ফোরণ
কিছুক্ষণ পরপর বেরিয়ে আসছে মরদেহ
রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত বাড়ছেই। সর্বশেষ আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ জনে। তাদের মধ্যে দুজন নারী। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে বিস্ফোরণে আহত অন্তত ৫০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে আহত অনেককেই এখনো উদ্ধার করার তথ্য আসছে। তাদের হাসপাতালে পাঠাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এখনো ওই ভবন থেকে মরদেহ বের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে সরেজমিনে এমন তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. শাহজালাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘পাশের একটা মার্কেটে কাজ করছিলাম। বিকেলে হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হলো। তারপর বের হয়ে এসে দেখি মানুষ দৌড়াদৌড়ি করছে আর হাউকাউ করছে। একটা গ্যাঞ্জামের মতো অবস্থা। অনেকের গায়ে রক্ত। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ তুলছেন দেখলাম।’
তিনি বলেন, ‘বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হঠাৎ বিকট একটি শব্দ হয়। এসে দেখি মানুষ পড়ে আছে, চিল্লাচিল্লি করছে। লোহার গেট, ভবনের দেওয়াল ভেঙে রাস্তায় পড়েছে। একটা বাস ওই ভবনের সামনে ছিল। বাসের যাত্রীদের অনেকেই আহত হয়েছেন। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।’
শাহজালাল আরও বলেন, ‘আমি নিজে একজন আহত ব্যক্তিকে রিকশায় তুলে দিয়েছি। তার শরীর দিয়ে রক্ত পড়ছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে অনেক লোকজনকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।’
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে একটি সাততলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পাশাপাশি থাকা দুটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সরেজমিন দেখে গেছে, সাততলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার পাশে ‘চায়না পয়েন্ট’ নামে আরেকটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে। এ ভবনে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা রয়েছে। বিস্ফোরণে পাঁচতলা এ ভবনের সব ফ্লোরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ভবনের জানালার কাচ।
আরএমএম/কেএসআর/এএসএম