অপচনশীল প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহে বিদ্যানন্দের ‘রিকশা বিন’
রাজধানী ঢাকাকে প্লাস্টিক দূষণ থেকে বাঁচাতে ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি রাজধানীতে দূষণ এড়াতে অপচনশীল প্লাস্টিক, কাগজ ও পলিথিন বর্জ্য সংগ্রহে নান্দনিক ডিজাইনের রিসাইকেল বিন এনেছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘রিকশা বিন’।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রিকশার পেছনে স্থাপন করেছে মোবাইল রিসাইকেল বিন।
এ বিষয়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ প্রধান সালমান খান ইয়াছিন বলেন, প্রাথমিকভাবে মিরপুরে প্রায় ২০০ জন রিকশাচালককে এ প্রকল্পের মাধ্যমে নিবন্ধন করা হবে। সরকারি কিংবা সিটি করপোরেশন থেকে সার্বিক সহায়তা পেলে এ প্রকল্পটিকে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। যাতে এ সিস্টেমের আওতায় সব রিকশাকে আনা যায়।
তিনি বলেন, রিকশা শিল্পের নান্দনিকতাকে মাথায় রেখে রিকশা বিনটি ডিজাইন করা হয়। এরপর রিকশাচালকদের একটি অনুষ্ঠানে ডেকে এ প্রকল্পটি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। যাত্রী হিসেবে থাকা লোকজনের ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট যত্রতত্র না ফেলে রিকশার পেছনে থাকা বিনে ফেলতে হবে বিষয়টি তাদের বোঝানো হয়। আবার রিকশা চলার পথে কুড়িয়ে পাওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করবে। এ ছাড়া ধীরে ধীরে মানুষ যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে এ বিন ব্যবহার করা শুরু করবে। আর এ প্রকল্পের মাধ্যমে রিকশাচালকদের সঙ্গে প্লাস্টিক বর্জ্য যারা ক্রয় করেন যুক্ত করা হয়েছে। যেন তারা সঠিক দামে প্লাস্টিক বর্জ্য বিক্রি করতে পারেন।
ঢাকা সিটি করপোরেশন এ পর্যন্ত ১৫ হাজার রিসাইকেল বিন স্থাপন করেছে, যার প্রায় ৮০ শতাংশ চুরি হয়ে গেছে কিংবা ভেঙে গেছে উল্লেখ করে সালমান বলেন, ঢাকায় রয়েছে প্রায় ১০ লাখ রিকশা। ময়লা ফেলার জন্য শহরের সব জায়গায় বিন না থাকলেও রিকশা রয়েছে সবখানে। আর এ রিকশাগুলোতে যদি বিন স্থাপন করা যায় তাহলে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এছাড়া এ রিকশা বিনগুলো চুরি হওয়ার সম্ভাবনাও কম, কেননা রিকশাচালকেরাই এর তত্ত্বাবধান করতে পারবে।
তিনি বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে এমন একটি মোবাইল পুনর্ব্যবহারযোগ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে যেন বিনটি আর চুরি না হয়। এভাবে বর্তমানে শহরের যেখানে এমন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে রিকশাচালকেরাও বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়েছে যা তাদের পরিবারের জন্য একটি উন্নত জীবনযাপনে সাহায্য করছে। আর ঢাকা শহরও প্লাস্টিক নামক অভিশাপ থেকে মুক্ত থাকবে।
এসএম/এমএএইচ/এমএস