বাঁশখালীতে অস্ত্রসহ ৪ জলদস্যু গ্রেফতার
বঙ্গোপসাগরে বরগুনার পাথরঘাটা এলাকায় জলদস্যুদের আক্রমণে নয়জন জেলে নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত চার জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন গন্ডামারা, বড়ঘোনা, বাংলাবাজার, শীলকূপ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-৭।
গ্রেফতাররা হলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামের আলী আহম্মেদের ছেলে মো. কাইছার ওরফে কালু (২৫), একই গ্রামের মৃত আলী চানের ছেলে মো. সেলিম (৪০), মো. সেলিমের ছেলে মো. ইকবাল হোসেন (১৫) এবং পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামের মৃত আহম্মেদ সাবার ছেলে মো. জাহিদ (২৫)।
এসময় গ্রেফতারদের কাছ থেকে চারটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, দুটি হাতুড়ি, তিনটি দা, একটি কিরিচ, দুটি শাবল, জাল এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত বোট ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতার কালু ও জাহিদ সরাসরি বোটে উপস্থিত থেকে দস্যুতায় অংশ নেয়। গ্রেফতার সেলিম ওরফে ডাকাত সেলিম বোটের মালিক। তার বোট ব্যবহার করেই ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ডাকাতরা জানিয়েছে, তারা আনুমানিক ১০ ফেব্রুয়ারি বোট নিয়ে সাগরে যান। ওইদিন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেল এলাকায় একটি বোট ডাকাতি করে। পরবর্তীকালে বরগুনা-পটুয়াখালী চ্যানেল দিয়ে দ্বিতীয় ডাকাতিটি সংঘটিত করে।
বরগুনা এলাকায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি করে ১৮-২০ জনের ডাকাতদল। এসময় ডাকাতরা ট্রলারের ১৮ জন জেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। জলদস্যুদের কবল থেকে বাঁচতে এসময় ৯ জন জেলে গভীর সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিখোঁজ হন। অন্য একটি ট্রলারের জেলেরা তাদের ট্রলার থেকে নয়জনকে উদ্ধার করে পরের দিন শনিবার সন্ধ্যায় পাথরঘাটায় নিয়ে যান। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত দুজনকে শনিবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং বাকিদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে সাগরে লাফিয়ে পড়া ৯ জেলের মধ্যে ৪ জনকে সাগর থেকে উদ্ধার করা হয় এবং পরের দিন বিকেলে তাদের মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা যান। এখন পর্যন্ত পাঁচ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
ইকবাল হোসেন/এমকেআর/জিকেএস