গুলশানে আগুন: ভবনের সামনে উৎসুক জনতার ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ভবনের সামনে উৎসুকদের ভিড়/ছবি: জাগো নিউজ

রাজধানীর গুলশানে আগুন লাগা ১২তলা আবাসিক ভবনের সামনে সকাল থেকেই উৎসুক জনতার ভিড়। রাতে পুড়ে যাওয়া ভবন দেখতে জড়ো হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ওই ভবনের সামনে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।

জানা গেছে, আগুন লাগা ভবনের ভেতরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সদস্যরা এখনো কাজ করছেন। পুরো ভবন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সকাল থেকে ভবনে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

jagonews24

রামপুরা থেকে আসা মোনায়েম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভেবেছিলাম আমরা যে জায়গায় কাজ করেছিলাম, সেখানে আগুন লেগেছে। তাই সকালেই দেখতে এলাম, ঠিক কোন ভবনে আগুন লেগেছে।’

আরও পড়ুন>> গুলশানের আগুনে মারা যাওয়া যুবকের পরিচয় শনাক্ত

গুলশান এলাকায় থাকেন শাহানুর রহমান। নিরাপত্তার কারণে রাতে ভবনের কাছাকাছি আসতে দেয়নি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এজন্য ঘটনাস্থলে আসতে পারেননি তিনি। শাহানরু জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাতে বের হইছিলাম। কিন্তু ভবনের কাছে আসতে দেয়নি। ভবনের অবস্থা দেখতে এখন এলাম।’

ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন-৩-এর উপ-পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ভবনটিতে ২৬টি ফ্ল্যাটে ২৩টি পরিবার বসবাস করে। সকালে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।

jagonews24

রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের বহুতল ভবনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

আরও পড়ুন>> আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি

আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারে যোগ দেন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরাও। দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুন লাগা ভবনে মোট ২৬টি ফ্লোর। সেখান থেকে নারী-শিশুসহ ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন ফায়ার ফাইটাররা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট পুড়ে গেছে।

আরএসএম/এএএইচ/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।