অবাঙালিদেরও ফ্ল্যাট করে দেবো: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় বসবাসরত উর্দুভাষী অবাঙালিদের ফ্ল্যাট করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, উর্দুভাষীদের জন্য উন্নতমানের ফ্ল্যাট নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছি। সুন্দরভাবে যাতে এই অবাঙালিরা বসবাস করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করে দেবো।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর মিরপুরে কালশী মোড় বালুর মাঠে এ অনুষ্ঠান হয়।
আরও পড়ুন: কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের সুবিধার দিকে লক্ষ্য করেই পরিকল্পনা করি। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিভক্ত করে দেই। বিভক্তির পর দুই সিটিতে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ করে নানা উন্নয়ন প্রকল্প করা হয়েছে। দক্ষিণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য ফ্ল্যাট করে দিয়েছি। উত্তরেও করে দেবো। উর্দুভাষীদের জন্যও হবে। একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না।
জায়গা পেলেই অনেকে ভবন নির্মাণ করেন। এর সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের কিছু লোক আছে, একটু জায়গা খালি পেলেই ভবন নির্মাণ করতে আসে। এই যে কালশী বালুর মাঠ, এটা বিনোদন পার্ক হবে। এখানে ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার ব্যবস্থা হবে। শিশুদের জন্য হবে পার্ক। যুবদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাটার ব্যবস্থাও রাখা হবে। তবে এই মাঠ যেন মাঠ থাকে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ভবন বৈধ করার সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ
বিশ্বব্যাংক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, যমুনা নদীর ওপর সেতু করতে যাই। তখন রেলসেতুও সংযুক্ত করতে চাই। বাধা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। তারা বলেছিল, সেটা লাভজনক হবে না। এখন আবার বিশ্বব্যাংকই ফিরে এসেছে, যমুনা নদীতে রেলসেতু করতে। আমি অনুমতি দিয়েছি। কিন্তু, আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশটা আমাদের। কোথায় কী হবে, হবে না। কী লাগবে, লাগবে না। এটা আমরাই ভালো বুঝি। এই ধারণাটা আমাদের থাকতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম।
আরও পড়ুন: চালু হলো উত্তরা সেন্টার স্টেশন, ৬ হাজার ৬৩৬ ফ্ল্যাটবাসীর স্বস্তি
এর আগে সকাল ১০টায় কালশী মোড় সংলগ্ন বালুরমাঠ, মিরপুর, ঢাকায় ইসিবি চত্বর হতে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে নির্মিত ফ্লাইওভারের নাম ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ফ্লাইওভার।
এক হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি শেষ করেছে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এসইউজে/জেডএইচ/এমএস