তুরস্কে ভূমিকম্প

আদিয়ামান থেকে হাতায়া যাচ্ছে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা

তুরস্কের আদিয়ামান শহরে উদ্ধারকাজ শেষ করে পার্শ্ববর্তী হাতায়া প্রদেশে যাচ্ছেন বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। তুরস্কে অবস্থান করা বাংলাদেশের আরবান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম বা সম্মিলিত উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা সেখানে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ পরিচালা করবেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এই তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া শাখা প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহজাহান সিকদার।

আরও পড়ুন: একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করলো বাংলাদেশি দল

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিনের উদ্ধারকারী দলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর উপ-সহকারী পরিচালক ফয়সালুর রহমান জানিয়েছেন আজ সকাল ১০টায় হাতায়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ টিম। আদিয়ামান সিটি থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাতায়া প্রদেশ। সেখানে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের উদ্ধারকাজ পরিচালনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

আদিয়ামান থেকে হাতায়া যাচ্ছে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল

সম্মিলিত উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিমের সদস্যরাও হাতায়া যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন: একদিনে পাঁচ মরদেহ উদ্ধার করলো সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী দল

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়া এবং তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। আকস্মিক এ ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি, স্থাপনা ধ্বংস এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে নাগরিক সুবিধাসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়।

ইন্টারন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অ্যাডভাইজার গ্রুপের (আইএনএসএআরএজি) নীতিমালার আলোকে ২৪ জন সেনাসদস্য ও ১২ জন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যের সমন্বয়ে ৩৬ সদস্যের আরবান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিসহ গত ৮ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে যান। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১০ সদস্য বিশিষ্ট সেনাবাহিনীর দুটি মেডিকেল টিম প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া জন্য যান।

আরএসএম/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।