সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যেতে পারেন। আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় গ্রুপ অব টুয়েন্টি (জি-২০) শীর্ষ সম্মেলনের ১৮তম আসরে যোগ দিতে ভারত যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় খাতরা। এ সময় তিনি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ১৮তম আসরে যোগ দিতে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের আরও বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০’র সভাপতির দায়িত্বে পালন করছে ভারত। জি-২০ এর সভাপতি হিসেবেই ভারত বাংলাদেশকে ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানালো।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ভারতের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিনয় খাতরা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিসহ উন্নয়ন যাত্রায় ভারত পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সফর শেষে ফিরে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব
বিনয় খাতরা বলেন, আপনার এবং আপনার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের (ভারতের) পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় খাতরা
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বন্ধনকে অত্যন্ত দৃঢ় বলে বর্ণনা করে বিনয় খাতরা বলেন, সমগ্র বিশ্ব এখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে। এরই মধ্যে যা কৌশলগত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সম্পর্ক আরও মজবুত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী ভারতকে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এই বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দুই প্রতিবেশীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উভয় দেশই কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: নেপাল-ভুটানের বিদ্যুৎ আনতে সহায়তা করবে ভারত
সফররত ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তারা ইন্ডিয়ান লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) শর্ত সহজ করার চেষ্টা করছেন, যাতে বাংলাদেশ সহজেই ঋণ নিতে এবং তা পরিশোধ করতে পারে। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য দুই দেশের স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহার করেই পরিচালনা করা যেতে পারে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উপস্থিত ছিলেন।
কেএসআর/জিকেএস