তুরস্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক দৃষ্টান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে সহায়তার ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী দল। মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে তীব্র শীতের মধ্যে বৈরী পরিস্থিতিতেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।

ভূমিকম্পে তুরস্কের আদিয়ামান শহরে ভেঙে পড়া ভবন থেকে একজনকে জীবিত ও ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধারসহ ছয়টি বিধ্বস্ত ভবন অপসারণ করেছে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল। এছাড়াও উদ্ধারকারী দলটি এ পর্যন্ত ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ১২০ কার্টন খাবার ও ৭২টি তাঁবু বিতরণ করেছে।

আরও পড়ুন: ‘আল্লাহ, মৃত্যু দাও না হয় বাড়ি ফেরাও’

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আইএসপিআর জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে গাজিয়ান্তেপ প্রদেশে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। আকস্মিক এই ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি, স্থাপনা ধ্বংস হয় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় নাগরিক সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য তুরস্ক সরকারের অনুরোধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকার ৪৬ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠায়।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃত্যু ৩৭ হাজার ছাড়ালো

ভূমিকম্পদুর্গত স্থানীয় লোকজনের মাঝে চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর মেডিক্যাল টিমটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি স্থায়ী মেডিকেল সেন্টার এবং উদ্ধার অভিযান স্থানে ফার্স্ট এইড টিম হিসেবে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। স্থায়ী মেডিকেল সেন্টারটি মূলত ভূমিকম্পের ফলে আঘাতপ্রাপ্ত ও মানসিক ট্রমায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে। মেডিকেল টিমটি এ পর্যন্ত ১০৪ জনকে চিকিৎসাসেবা ও তাদের মাঝে ৩২ কার্টন ওষুধ বিতরণ করেছে।

উদ্ধারকারীরা প্রাণের সন্ধানে এখনও কঠোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে দলটি। পাশাপাশি আটকে পড়াদের উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ স্থানীয় জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে জানায় আইএসপিআর।

টিটি/বিএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।