‘পদকের জন্য কখনো কাজ করিনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

২০২৩ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশ বলেছেন, পদকের জন্য কখনো কাজ করিনি। আর এই পদক আমাদের একার নয়। প্রতিষ্ঠানটিকে মানুষই দাঁড় করিয়েছে গরিবের কল্যাণে।

এ বছরের একুশে পদকের জন্য মনোনীত ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশের পর রোববার বিকেলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাগো নিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।

কিশোর কুমার দাশ বলেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের অর্জন না বলে মানুষের অর্জন বলতে চাই। সরকারের এই স্বীকৃতি দায়িত্বটা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আশীর্বাদ করবেন যেন পদকপ্রাপ্তিতেও নীতি থেকে সরে না যাই।

সমাজসেবায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মনোনীত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে।

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। মূলত দরিদ্র ও পথশিশুদের শিক্ষা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে খাদ্য, বস্ত্র, এতিমখানা, স্বাস্থ্যসহ সমাজকল্যাণমূলক নানা কার্যক্রমে যুক্ত হয়। করোনা মহামারিতে সারাদেশে সাধারণ মানুষের অর্থসহায়তায় ত্রাণ কার্যক্রম, করোনা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ নানা সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আলোচনায় আসে প্রতিষ্ঠানটি।

প্লাস্টিক রিসাইকেলিং ও বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, হাজার হাজার দরিদ্র শিক্ষার্থীর জন্য পড়াশোনার ব্যবস্থা, প্রত্যেককে ১ টাকায় প্রতিদিন পাঁচ হাজার মানুষকে খাবার দেওয়া এবং ১ টাকায় চিকিৎসাসহ অসংখ্য সমাজসেবা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা, সহায়তা আর আস্থা নিয়ে মাত্র ৯ বছরে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় পরিণত হয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এর আগে শেখ হাসিনা ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড এবং মানবকল্যাণ পদকসহ নানা পদকে প্রতিষ্ঠানটি সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকের জন্য মনোনীত হলো প্রতিষ্ঠানটি।

এসএম/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।