রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাবুদ্দিন
দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন মো. সাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলের পার্লামেন্টারি পার্টির প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন।
মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন বিচারক। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি। দুদকের সাবেক কমিশনার ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য তিনি।
একাধারে তিনি আইনজীবী, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও বিচারক ছিলেন। ৭৫এর পর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করায় ২০ আগস্ট সামরিক আইনের ৭ ধারায় আটক হয়ে প্রায় তিন বছর কারাগারে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন>>> দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মো. সাহাবুদ্দিন
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মৃত্যুর পর তাকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়। এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন।
১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন>>> কে কীভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবেন, যা আছে সংবিধানে
ছাত্র জীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারা বরণ করেন।
আরও পড়ুন>>> রাষ্ট্রপতি মনোনয়নের ভার শেখ হাসিনার ওপর
ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের বাবা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের যুগ্ম সচিব ছিলেন।
এসইউজে/এমওএস/এমআইএইচএস/এমএস