৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পেয়েছে ইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে মজুত থাকা ৪০ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইভিএম প্রকল্প পরিচালক (পিডি) কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান।

তিনি জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই করে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পাওয়া গেছে। ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো মেরামতের জন্য বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া ত্রুটিমুক্ত এক লাখ ১০ হাজার ইভিএম ভোটের জন্য প্রস্তুত রাখা আছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে ইভিএম নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনে ৫০ থেকে ৭০ আসনে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে

ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক বলেন, অর্থ সংকটে নতুন ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। ফলে কমিশনকে মজুত ইভিএমের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু যে পরিমাণ ইভিএম মজুত আছে, তার কতগুলো এখন ব্যবহারযোগ্য আর কতগুলো মেরামত করতে হবে, সে হিসাব আমরা করেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে মজুত ৭০ হাজার এবং অন্য গোডাউনে থাকা ৪০ হাজারসহ মোট এক লাখ ১০ হাজার ইভিএম এখন ভোটের জন্য সচল। বিভিন্ন সময় ভোটের পর সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করাসহ অযত্ন-অবহেলায় ত্রুটিপূর্ণ ইভিএমগুলো অকেজো হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ইভিএম প্রকল্প বাতিল হলেও হতাশ নয় ইসি

জানা যায়, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ২০১৮ সালে তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার অভাবে এখন অনেক ইভিএমই ত্রুটিপূর্ণ হয়ে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি সংসদীয় আসনসহ বিগত পাঁচ বছরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এবং বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২ লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প আপাতত স্থগিত

এখন ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলার ৪০টিরও বেশি অস্থায়ী গুদামে ইভিএমগুলো সংরক্ষণ করা আছে। গত চার মাস ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৪০ হাজার ইভিএমে ত্রুটি পেয়েছে ইসি।

এইচএস/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।