আদানির বিদ্যুৎ আসবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে: প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

ভারতের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আগামী মাসের (মার্চ) প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আদানির বিদ্যুৎ আসা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ রপ্তানি অনিশ্চিত

তিনি বলেন, ‘আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করছি। যার জন্য গ্যাসও আমরা বৃদ্ধি করছি। গ্যাসের দাম কিছুটা স্থিতিশীল। আমরা শিল্পে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করছি, বিদ্যুতেও গ্যাসের পরিমাণ বাড়াবো, যাতে ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চসহ বিদ্যুতের অবস্থা ভালো থাকে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, সেগুলো একটার পর একটা আসা আরম্ভ হবে। আমরা পায়রা তো পাচ্ছি, পুরোটাই পাচ্ছি আমরা। আমরা আশা করছি রামপালও চলে আসবে। আমরা আশা করছি বরিশালের ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে আসবে। আমরা আশা করছি, এসএস পাওয়ার সেটা চলে আসবে।’

আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে চুক্তি সংশোধন চায় বাংলাদেশ, ভারত বললো ‘জড়িত নই’ 

‘আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যে যে বিদ্যুৎ আমরা আনবো, সেটা আশা করছি আগামী মাসের (মার্চ) প্রথম সপ্তাহ থেকে বিদ্যুৎ পাবো।’

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে অর্ধেক ৭৫০ মেগাওয়াট এবং দ্বিতীয় ইউনিট থেকে এপ্রিলে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলেও জানান নসরুল হামিদ।

গণমাধ্যমে এসেছে আদানির বিদ্যুৎ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা খুবই বাজে কথা। আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র আমরা নিজেরা দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের টিম গিয়েছিল, সেখানে আমি ছিলাম। তারা বহু আগেই বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলেছিল। আমরা যেহেতু ফেব্রুয়ারির শেষে একটা তারিখ নির্ধারণ করেছি, সেদিনই আমাদের সিওডি (কমার্শিয়াল অপারেশন ডেট) হবে। সিওডি হওয়া মানেই আমরা আশা করছি মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ পাবো।’

আদানির সঙ্গে চুক্তির সংশোধনীর কথা বলা হচ্ছে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যা চুক্তি হয়েছে, তাই থাকবে। সেখানে বেশিকম হবেই। এটা নির্ভর করে বিশ্বের প্রাইস ও ইনডেক্সের উপর। যেভাবে আমাদের চুক্তি হয়েছে সেভাবেই আমরা বিদ্যুৎ আনব।’

কয়লাম দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশাবাদী কয়লার দাম এখন যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় নিলে আমরা প্রতিযোগিতামূলক দামে পাবো। কারও থেকে কারও বেশি না।’

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি তেলভিত্তিক বিদু‌্যৎকেন্দ্র পুরোটাই আমরা বন্ধ রাখবো। স্পট মার্কেট ও লং টার্ম মিলিয়ে হয়তো সাড়ে ৭০০ এমএমসিএফ গ্যাস আনা হবে।’

গ্যাসের বর্ধিত মূল্য ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

আরএমএম/জেএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।