ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা সেজে বেকারিতে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সেজে বেকারিতে চাঁদাবাজি করতে যাওয়া আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর দক্ষিণ পীরেরবাগে একটি বেকারিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন তারা। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. শাহিন ওরফে বল্লা শাহীন (২৫), মো. ইউসুফ চৌধুরী (২৮), মো. আবদুল আলিম (২৩), মো. মামুন কাজী (৩২), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৬), সুলতান মাহিদ ওরফে পিয়াস (৩৩), মো. তুষার (৩১) ও মো. রাহাদ (২৮)।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতাররা নিজেদের পুলিশ ও পরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন তারা। তদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬ টাকার ইনজেকশন এক হাজারে বিক্রি!
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বল্লা শাহীন তার সহযোগীদের নিয়ে দক্ষিণ পীরেরবাগ আল বারাকা বেকারি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে গিয়ে তারা প্রথমে নিজেদের ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
ওসি আরও বলেন, বেকারির মালিক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে বেকারিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে গ্রেফতাররা বেকারির মালিকপক্ষকে সমস্যা হবে বলে ভয়ভীতিও দেখান। একপর্যায়ে বেকারির কর্মচারীরা ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিলেও প্রতারকরা দোকানের কর্মচারীদের গালিগালাজ করেন। এসময় দোকানের এক কর্মচারী কৌশলে পুলিশকে ফোন করে জানালে পুলিশ বল্লা শাহীন ও চক্রের অন্যদের গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে চিনির বস্তা লুকিয়ে রাখায় ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
ওসি মোহাম্মদ মহসীন আরও বলেন, গ্রেফতাররা সবাই পেশাদার অপরাধী। চক্রের মূলহোতা বল্লা শাহীন ২০১৯ সালে মিরপুরে আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে তারা পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করেছিলেন। ওই ঘটনায়ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলেও ওসি।
টিটি/এএএইচ/জেআইএম