জনস্বাস্থ্য রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধের উদ্যোগ প্রশংসনীয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩

ই-সিগারেট আগামী প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করতে তামাক কোম্পানির নতুন কৌশল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ই-সিগারেট বা ভেপিং আরো বেশি ক্ষতিকর। সরকার ই-সিগারেট নিষিদ্ধের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা প্রশংসনীয়। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে, আর সেই লক্ষ্যে তামাকের মতো ক্ষতিকর দ্রব্য হতে জনগণকে বিরত রাখা জরুরি।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের কৈবর্ত সভাকক্ষে ‘ইমপর্টেন্স অব ব্যানিং ই সিগারেট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্স সেল (টিসিআরসি) ও বাংলাদেশে তামাকবিরোধী জোট যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।

বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোলের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক (বাংলাদেশ) অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান।

আরও পড়ুন: সিগারেটের চেয়ে ক্ষতিকর ই-সিগারেট, দেশে বাড়ছে আসক্তি 

এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক রখফার সুলতানা খানম, ভাইটাল স্ট্রাটিজিস এর হেড অফ প্রোগ্রামস (বাংলাদেশ) মো. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ ও প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল হেলাল আহমেদ। এছাড়াও সভায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের প্রতিনিধিরা।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো সিগারেটের বিকল্প হিসাবে ই-সিগারেটে আসক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন মিথ্যাচার করছে। দীর্ঘমেয়াদী ভোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে তাদের মূল টার্গেট তরুণ প্রজন্ম। সম্প্রতি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ সংশোধনের খসড়ায় ই-সিগারেটের উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করা হয়েছে যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে এখনই ই-সিগারেট, ভেপিংয়ের মতো পণ্য নিষিদ্ধ করতে হবে।

আরও পড়ুন: ই-সিগারেট নিষিদ্ধের প্রস্তাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সায় 

রখফার সুলতানা খানম বলেন, সব ধরনের তামাক শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তরুণদের তামাক ব্যবহার হতে দূরে রাখতে হবে। ০ লক্ষ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সঙ্গে কাজ করা জরুরি।

এমওএস/জেএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।