মগবাজারে বিস্ফোরণস্থলের পাশে দুই স্কুল, যা বলছে সিটিটিসি
রাজধানীর মগবাজারের বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, প্লাস্টিকের ড্রামটিতে আগে থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা ছিল। তবে এটাতে দেশীয় ককটেল নাকি অন্য কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মগবাজার ওয়ারলেস গেট সংলগ্ন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
আরও পড়ুন: মগবাজারে ড্রাম বিস্ফোরণ, ৪ পথচারী আহত
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ড্রাম থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ফেলে দেওয়ার সময় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে চার জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুই জন পথচারী। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে আমাদের বোম ডিসপোজাল টিম আসে এবং আলামত সংগ্রহ করে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আগে থেকেই ড্রামের ভেতরে যে কেউ বিস্ফোরক রেখে দিয়েছিল। অসাবধানতাবশত ফেলে দেওয়ার কারণে সেটি বিস্ফোরিত হয়। তবে বিস্ফোরক দ্রব্য কে রেখেছিল বা কীভাবে এখানে এসেছে সেটা উদঘাটনে কাজ করছি।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিস্ফোরণস্থল থেকে অসংখ্য স্প্লিন্টার উদ্ধার
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা কী ধরনের বিস্ফোরক- দেশি ককটেল নাকি অন্য কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য তা জানতে আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে।
বিস্ফোরণের বিষয়ে সিটিটিসি কী সন্দেহ করছে জানতে চাইলে সংস্থাটির প্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে কোনো কিছু সন্দেহ করছি না। কেউ হয়তো বিস্ফোরকটি রেখে গিয়েছিল। তবে মোটিভ জানতে পারলে প্রকৃত ঘটনা বের করতে পারবো।
এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গিদের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এমন কোনো বিষয়ে সন্দেহ করছি না। তবে প্রাথমিকভাবে সব বিষয় সামনে রেখে আমরা কাজ করছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, এটি বড় বিস্ফোরণই ছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও বিস্ফোরণের আঘাতের চিহ্ন দেখে আমরা এমনটিই ধারণা করতে পারছি।
আরও পড়ুন: মগবাজারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বড় মগবাজারের ওয়ারলেস গেটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন আহত হন। ছয়তলা ভবনের নিচে যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে দুইটি স্কুল রয়েছে।
এর মধ্যে একটি সেন্ট ম্যারিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, অন্যটি রমনা কিডস কিন্ডারগার্টেন স্কুল। তার পাশেই মেট্রো ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। স্কুলের নিচে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দে স্কুলের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে এবং এখনো তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
বিস্ফোরণের সময় দুই স্কুলেই ক্লাস চলছিল। পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়অ জানা গেছে, দুই স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।
টিটি/কেএসআর/এএসএম