রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে সামনে রেখে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ২টায় স্পিকারের সংসদের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন তারা। এসময় অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত না থাকলেও নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে ইসি সচিব জানিয়েছিলেন, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে আমরা সংসদ সচিবালয় থেকে সময় পেয়েছি।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাইলেন সিইসি
আগামী ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের। পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হন তিনি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী তার আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। সে কারণে নতুন কাউকে দেখা যাবে তার জায়গায়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শেষ করতে হবে। সে হিসেবে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যথাসময়ে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনও তাদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হতে হলে সংসদ সদস্য হতে হয় না। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।
আরও পড়ুন: আলোচনায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
এরই মধ্যে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্র নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কে হচ্ছেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি- এ নিয়ে চলছে গুঞ্জন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
এইচএস/জেএইচ/জিকেএস