কোয়ালিটি সার্ভিস দিয়ে ভালো সাড়া পাচ্ছে এয়ার অ্যাস্ট্রা: সিইও
২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর দুটি এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে এয়ার অ্যাস্ট্রা। ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে প্রতিদিন চারটি ও ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে প্রতিদিন চারটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। গত ১৮ জানুয়ারি আধুনিক টার্বোপ্রপ প্রযুক্তির এয়ারক্রাফট এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের আরেকটি এয়ারক্রাফট এয়ার অ্যাস্ট্রার বহরে যোগ হয়েছে। শিগগির ঢাকা-সিলেট-ঢাকা এবং ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে তারা।
ভবিষ্যতে যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ীমূল্যে সেবা অব্যাহত রাখতে চায় সংস্থাটি। নিজেদের অগ্রযাত্রা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং দেশের অ্যাভিয়েশন খাতের নানা বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুসা আহমেদ।
জাগো নিউজ: কেমন আছেন?
ইমরান আসিফ: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।
জাগো নিউজ: সিভিল অ্যাভিয়েশন খাতে এয়ার অ্যাস্ট্রার যাত্রাপথের শুরুটা কেমন ছিল?
ইমরান আসিফ: ২০২১ সাল থেকে আমরা এয়ারলাইন্সে আসার কাজ শুরু করি। করোনা পরবর্তীসময়ে তখন ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করছে। আমরা যেটা দেখেছি, সারা বিশ্বে অভ্যন্তরীণ মার্কেটগুলো রিকভার করছে। তখন আমরা মনে করলাম করোনা পরবর্তী যে ডিমান্ডটা, সেখানে দেশে থার্ড একটা এয়ারলাইন্স দরকার। সেই হিসেবে মার্কেটে আসার চেষ্টা করেছি। প্রথমে অভ্যন্তরীণ মার্কেট নিয়ে পরিকল্পনা করি। নভেম্বর ২০২২-এ এসে আমরা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে এনওসি (অনাপত্তি সনদ) পাই। পরে ২৪ নভেম্বর থেকে ফ্লাইট অপারেশন শুরু করি।
জাগো নিউজ: এয়ার অ্যাস্ট্রা যাত্রীদের কাছ থেকে সাড়া কেমন পাচ্ছে?
ইমরান আসিফ: গত দুই মাসের অপারেশনে আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। যে সময়টাতে আমরা এসেছি সে সময়টা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে একটা পিক টাইম। কারণ শীতে স্কুল ছুটি থাকে। প্রচুর ট্রাভেলিং হয়। এখন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আমরা খুব সাড়া পাচ্ছি। আমরা শুরু করেছিলাম দুটি এয়ারক্রাফট দিয়ে। এরই মধ্যে থার্ড এয়ারক্রাফট এসেছে। এখন পর্যন্ত আমরা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অপারেট করছিলাম। ঢাকা থেকে এই দুটি গন্তব্যে দিনে চারটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। এখন থার্ড যে এয়ারক্রাফট এসেছে, সেটা অপারেট করতে আমাদের দু-তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। এরপর আমরা এটা দিয়ে নতুন রুট সিলেট এবং সৈয়দপুরে যাত্রা শুরু করবো।
জাগো নিউজ: এখন পর্যন্ত এয়ার অ্যাস্ট্রা কোনো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে?
ইমরান আসিফ: চ্যালেঞ্জ বলতে যে সময় আমরা ফ্লাইট শুরু করেছি, ঠিক তার পরেই শীতের ঘন কুয়াশার একটা ইস্যু সামনে আসছে দেশজুড়ে। সেটার জন্য কিছু ফ্লাইট ওঠা-নামায় ব্যাঘাত ঘটছে। এই সমস্যায় শুধু আমরা না, কমবেশি অন্য সংস্থার ফ্লাইটও একই সমস্যায় আছে। ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটগুলোতেও এমন শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এর বাইরে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়নি।
আরও পড়ুন>> শাহজালালে ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয়, আইএলএস আপগ্রেডেশনে গড়িমসি
এই ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে বড় সংকট ছিল দক্ষ ম্যানপাওয়ারের। সে সমস্যা যাতে ফেস করতে না হয়, সেজন্য আমরা ২০২২ সালের শুরু থেকে সব ডিপার্টমেন্টের স্টাফদের ট্রেনিং করিয়েছি। যাতে কাস্টমার সার্ভিস, গ্রাউন্ড সার্ভিস, ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনসহ সব ক্ষেত্রে স্কিল ডেভেলপমেন্ট পর্যায়টা ভালো অবস্থানে থাকে। যাত্রীরা সুন্দরভাবে যাতায়াত করতে পারে।
জাগো নিউজ: সিভিল অ্যাভিয়েশন সেক্টরে এয়ার অ্যাস্ট্রার সফলতার বিষয়ে আপনারা কতটা আশাবাদী?
ইমরান আসিফ: এয়ারলাইন্স ইন্ডাস্ট্রিতে একটি কথা প্রচলিত আছে, যে দেশের অর্থনীতি যতটা ভালো, অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট ততটা ভালো করবে। ১২ বছর ধরে বাংলাদেশ ছয় থেকে সাত শতাংশ অ্যাভিয়েশন খাতে গ্রোথ করেছে, যা খুবই পজিটিভ। এই জায়গাটার দিকে আমরা মনে করি বাংলাদেশে যেহেতু বড় বড় মেগা প্রজেক্ট চলছে এবং ভবিষ্যতে হবে, সে জায়গা থেকে ইকোনমি অ্যাক্টিভিটি বাড়বে। আর ইকোনমি যদি গ্রোথ করে তাহলে এয়ারলাইন্স ইন্ডাস্ট্রিও বুস্ট পাবে।
আরও পড়ুন>> কম ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে লাভে বিমান, নাখোশ বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো
এছাড়া একটা এয়ারলাইন্স শুরু থেকেই লাভ করতে পারে না। এই বিজনেস ওঠা-নামা করে। রিটার্নটা আসতে সময় লাগে। আমরা মাত্র শুরু করলাম। আশাকরি একটা পর্যায়ে সাসটেইনেবল বিজনেস করতে পারবো। সেই জায়গায় আমাদের যেতে একটু সময় লাগবে। এটা শুরুতেই হবে না, যেহেতু এয়ারলাইন্সের খরচ অনেক বড়।
জাগো নিউজ: অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করা অন্যান্য এয়ারলাইন্স থেকে আপনাদের এয়ারক্রাফটের ব্যতিক্রম কী সেবা রয়েছে, যেটাতে যাত্রীদের আকর্ষণ করবে?
ইমরান আসিফ: এখানে একটা কথা বলি, আমাদের দেশটা তো ছোট। ফ্লাইটগুলোও কম দূরত্বের। যদিও আমরা সবাই একই মডেলের এয়ারক্রাফট ব্যবহার করি।
এখন আমরা যে জায়গাটিতে ব্যতিক্রম হওয়ার চেষ্টা করছি, সেটা হলো গত দুই মাস ধরে যাত্রীরা সবাই ইতিবাচক নোটিশ করছে। কাস্টমার সার্ভিসের জায়গাটায় সবাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। আমরা এক বছর ধরে আমাদের স্টাফদের যে ট্রেনিংগুলো করিয়েছি সেটারই এখন ফল পাচ্ছি। যারা বিমানবন্দরে আসছেন তারা আমাদের কাস্টমার সার্ভিসের সুনাম করছেন। কোয়ালিটি সার্ভিস, যা অন্যান্য এয়ারলাইন্সের চেয়ে ভালো। সে জায়গা থেকে আমরা খুব ভালো একটা রেসপন্স পাচ্ছি।
জাগো নিউজ: গত দুই বছর আগে জেট ফুয়েল ৪৬ টাকা লিটার ছিল। এখন তা বেড়ে ১৩০ টাকায় পৌঁছেছে। এ অবস্থায় আপনাদের কতটা পোষাচ্ছে?
ইমরান আসিফ: জেট ফুলের দাম বৈশ্বিক কারণে বাড়ছে। তবে বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় দামটা অনেক বেশি। সেজন্য আমরা এয়ারলাইন্স মালিকদের সংগঠন অ্যাভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) পক্ষ থেকে সংসদীয় কমিটি, মন্ত্রণালয়ে একাধিক মিটিং করেছি। আমাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছি। আমরা আশা করি মন্ত্রণালয় বিষয়টা দেখবে, যাতে জ্বালানি তেলের মূল্যে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় থাকে। আমরা আশ্বাস পেয়েছি, সে আশ্বাসের বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই এ বছর। এটাই আমাদের মূল দাবি।
আরও পড়ুন>> নভোএয়ারে লক্ষ্য এবার আন্তর্জাতিক রুটে সফলতা অর্জন: এমডি
আরেকটা দাবি ছিল, ইন্টারন্যাশনাল ও ডমেস্টিক ফ্লাইটে জ্বালানি তেলের দাম তারতম্য রয়েছে। পার্থক্য থাকাটা সমীচীন নয়। কোনো যুক্তিযুক্ত কারণও আসলে নেই। এই জায়গাটায়ও একটি লেবেল প্লেইং ফিল্ড দরকার, যাতে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটগুলো চলতে পারে। এখন আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো আমাদের চেয়ে কমে তেল কেনে।
জাগো নিউজ: উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশের উচ্চ করহারসহ বিভিন্ন ধরনের শুল্ক নিয়ে অনেকদিন থেকেই বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন খাত সংশ্লিষ্টরা সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার করছে। তাতে কি কোনো লাভ হয়েছে?
ইমরান আসিফ: সংসদীয় কমিটি ও মন্ত্রণালয়ে যে দাবিগুলো জানিয়েছি, এর মধ্যে এয়ারলাইন্সের যন্ত্রাংশের ওপর কর বন্ধের কথাও বলা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, এয়ারলাইন্সের যন্ত্রাংশ আমদানিতে কর দেওয়া লাগে না। সমস্যা হচ্ছে অন্য জায়গায়। এয়ারক্রাফটের পার্সের যে নাম থাকে, যেমন একটা জেনারেটর যখন আমদানি করি, তখন এটা জেনারেটর হিসেবেই আমদানি করতে হচ্ছে। অথচ এটা এয়ারক্রাফটের ইঞ্জিনের একটা অংশ। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারছে না, এটা এয়ারক্রাফটের পার্টস না অন্য কোনো যন্ত্রের পার্টস। যেহেতু এটাতে জেনারেটর লেখা। জেনারেটরের যে কোড নম্বর আছে, সেই কোডে কিন্তু কর প্রযোজ্য। সেই জায়গা থেকে থেকে তারা কনফিউজড।
আরও পড়ুন>> উদ্যোগেই আটকে আছে হেলিপোর্ট নির্মাণ
গত মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা প্রস্তাব করেছি সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি যদি একটা ডিক্লারেশন দেয়, আমরা যখন যন্ত্রাংশ আমদানি করবো তখন অথরিটির কাছে চিঠি দেবো, যে এই পার্সটা এই এয়ারলাইন্সের জন্য লাগবে। সিভিল অ্যাভিয়েশন এটা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে।
যেহেতু এখানে অনেকগুলো মন্ত্রণালয় ইনভলভ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসেও একটা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা লাগবে। এমনটা আলোচনা হয়েছে। পরে সেই মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত কাস্টমস অথরিটির কাছে দেবো। এটা এখনো আলোচনাধীন বিষয়।
আমাদের আরেকটা দাবি ছিল সারচার্জ। যেটা বার্ষিক ৭২ শতাংশ। বিশ্বের কোথাও এমন হাই রেট নেই। এত হাই রেট থাকলে কালেকশন কিন্তু হয় না। এমন নজির কম আছে যে সব এয়ারলাইন্স সারচার্জ দেনা শোধ করতে পেরেছে। দেশের বেশ কয়েকটা এয়ারলাইন্স বসে গেছে, তাদের কাছে এখনো সিভিল অ্যাভিয়েশন শত শত কোটি টাকা পায় সারচার্জ হিসেবে। যেখানে যে রুলের কোনো কালেকশন নেই, বেনিফিট নেই, সেই আইন থাকার তো প্রশ্ন থাকে না। তাই আমরা প্রস্তাব করেছি, সারচার্জের বিষয়টা যাতে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়। তখন কালেকশন বাড়বে।
জাগো নিউজ: বেসরকারি এয়ারলাইন্সের তুলনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কিছুটা কম দামের টিকিট বিক্রি করে। আপনারা পারছেন না কেন?
ইমরান আসিফ: বিমানের বিজনেস মডেল ডিফারেন্ট। ওদের খরচের জায়গাগুলো আমাদের চেয়ে কম। যেমন আমাদের হ্যাঙ্গার নেওয়ার জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন থেকে অনুমতি নিতে হয়। একটা হ্যাঙ্গার যদি অ্যালোটমেন্ট পাই তাহলে মাসে ভ্যাট, ট্যাক্সসহ কমবেশি এক কোটি টাকা ভাড়া দিতে হবে। বিমানের কিন্তু নিজস্ব হ্যাঙ্গার আছে। বিমানকে তো ভাড়া দিতে হয় না। তাদের হ্যাঙ্গার ৮০ দশকে তৈরি করা, এযাবতকাল ভাড়া দিতে হয়নি। তাদের খরচের জায়গা কম।
আরও পড়ুন>> প্রবাসী কর্মীদের জন্য ৩০ কোটি টাকায় বিশ্রামাগার, দিনে ভাড়া ২০০
এছাড়া সরকারি এয়ারলাইন্সের অবজেক্টিভ কিন্তু প্রফিট করা না। তাদের কাজটা সোশ্যাল সার্ভিসের মতো। এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। আমরা যারা প্রাইভেট এয়ারলাইন্স হিসেবে কাজ করছি, আমাদের একটা না একটা সময় লাভ করতে হবে। আমরা যখন কোনো ব্যাংক থেকে লোন করি, তখন ১১-১২ শতাংশ লাভ গুনতে হয়। বিমানের ফাইন্ডিংটা কিন্তু সরকার থেকে আসে। তাদের কিন্তু ওই লেভেলের চাপ নিতে হচ্ছে না।
জাগো নিউজ: এয়ার অ্যাস্ট্রার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
ইমরান আসিফ: আমাদের নিয়ম আছে এক বছর ডমেস্টিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে হবে। তারপর ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটের জন্য আবেদন করা যাবে। আমাদের পরিকল্পনা তৈরি আছে। আমরা এক বছর ডমেস্টিক করবো। এবছর আমাদের টার্গেট এয়ারক্রাফটের বহরটা আটটায় নিয়ে যাওয়া। চলতি বছর আরও পাঁচটি এয়ারক্রাফট যোগ করার আশা রাখি। এই আটটি উড়োজাহাজ দিয়ে আমরা ডমেস্টিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবো। এরপর আমরা ২০২৪ সাল থেকে পরিকল্পনা নেবো আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের। সেটার কিছু ইনিশিয়াল প্রিপারেশন এখন থেকেই নিচ্ছি। মার্কেট অ্যানালাইসিস করছি। ২০২৪ সালের কোনো একটা সময় থেকে আমরা অপারেট করতে পারবো বলে আশা করি।
জাগো নিউজ: আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইমরান আসিফ: জাগো নিউজকেও ধন্যবাদ।
এমএএ/এএসএ/জেআইএম