প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় সংসদে ক্ষোভ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৩ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। এ বিষয়ৈ কোনো ব্যবস্থা না হওয়ার অভিযোগ এনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘এসব বাসের মালিক পুলিশ, রাজনীতিক ও শক্তিশালী মানুষেরা। কোনো বাসের কিছু হয় না।’

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘রোড এক্সিডেন্টে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছেন। পৃথিবীর অন্য কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় এত মানুষ মারা যান কি না জানি না। একটি মৃত্যুর ঘটনায় ওই পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যায়। তাদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা বিলীন হয়ে যায়।’

আরও পড়ুন: ভিক্টর বাসের ধাক্কায় নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্রী নিহত

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত খবর তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই যে বাসগুলো। এর মালিক কারা? অধিকাংশ বাসের মালিক হচ্ছে পুলিশ অফিসার। আমাদের যারা রাজনীতি করেন তারা। আর যারা শক্তিশালী আমাদের পাশে বসে আছেন। আমার পেছনে বসে আছেন আমাদের দলের চিফ হুইপ। তিনি বলতে পারবেন এসব বাসের মালিক কারা।’

তিনি বলেন, ‘এসব বাসের কোনো কিছু হয় না। কিচ্ছু হয় না। বেপরোয়া বাস চলে। কোনো বাসের লাইসেন্স নেই। চালকের লাইসেন্স নেই। সিগন্যাল বাতি নেই। ডানে যাবে না বামে যাবে কেউ বলতে পারে না। এসব চালকদের আজ পর্যন্ত আমরা পথে আনতে পারলাম না। শিক্ষিত করতে পাারলাম না।’

ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ করবো। কিন্তু এই যে অবস্থা! এ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ করবো? আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে যদি একটু তুলনা করি সেখানে কী এই অবস্থা আছে? সিঙ্গাপুরে আছে? মালয়েশিয়ায় আছে?’

আরও পড়ুন: সুপ্রভাত থেকে ভিক্টর, নাম বদলেও থামছে না সড়কে মানুষ চাপা

তিনি বলেন, ‘সরকার রাস্তাঘাটের অনেক উন্নয়ন করেছে। এসব রাস্তা দিয়ে রাতের বেলা ২০/৩০ টনের ট্রাক চলে। দেখার কেউ নেই। টাকা খেয়ে এই ট্রাকগুলোকে রাস্তায় ঢুকতে দেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘বাস ও চালকের লাইসেন্স আছে কি না, গাড়ির ফিটনেস আছে কি না, এসব যাচাই করলে এসব ঘটনা ঘটতো না। মহাসড়কে কোথাও মোটরসাইকেল-ভটভটি চলে না। আমাদের দেশে চলছে। এসব ভটভটি-নছিমন-করিমনের কোনো ব্রেক নেই।’ তিনি এসব দেখার জন্য জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান।

অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজার, টেকনাফ এলাকার মাদক কারবারিদের তালিকা করা হয়েছিল। এরপর অনেকে আত্মসমর্পন করেছিলেন। কিন্তু এখন মাদক আসা তিনগুণ বেড়েছে।’

আরও পড়ুন: বিমানবন্দর সড়ক থেকে অবরোধ তুললো শিক্ষার্থীরা

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এর সঙ্গে রোহিঙ্গারা জড়িত। অনেক জায়গায় ক্যাম্পের কাটাতারের বেড়া কেটে বাইরে চলে যান। তমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়া এলাকাটি নোম্যান্স ল্যান্ড। সেখনে কিছু রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে সশস্ত্র গ্রুপ আছে। তারা মাদক কারবারে সঙ্গে জড়িত। কোনাপাড়া দিয়ে মাদক আসছে। এই মাদক কারবারের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এদেশের অনেকে জড়িত।’

তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার, টেকনাফে কারা কারা মাদক কারবারে জড়িত তার নতুন তালিকা করা উচিত। আর কোনাপাড়ায় যারা অবস্থান করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

এইচএস/ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।