‘ভূমি আইন পাস হয়েছে’ খবরটি গুজব: মন্ত্রণালয়
‘ভূমি আইন পাস হয়েছে, ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে’ এমন একটি খবর সাম্প্রতিক সময়ে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, ছড়িয়ে পড়া খবরটি সঠিক নয়। এটি একটি গুজব। এ নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মন্ত্রণালয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ভূমি বিষয়ক আইন সম্পর্কিত ভুয়া খবর/গুজব প্রসঙ্গে সতর্কতামূলক গণবিজ্ঞপ্তি
এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ‘ভূমি আইন পাস হয়েছে, ১০ই জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে’ মর্মে একটি ভুয়া খবর/গুজব সম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে/ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে যা ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ পর্যালোচনার সময় নজরে আসে। এ ধরনের ভুয়া খবর/গুজব জনমনে বিরূপ প্রভাব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
আরও পড়ুন: ই-নামজারির নিয়ম না মেনে আবেদন নামঞ্জুর, খতিয়ে দেখতে ডিসিদের চিঠি
প্রকৃত তথ্য হচ্ছে ‘ভূমি আইন’ নামে কোনো আইন জাতীয় সংসদে এখন পর্যন্ত প্রণয়ন করা হয়নি। সর্বসাধারণকে এ ধরনের ভুয়া খবর/গুজবের বিষয়ে অধিকতর সর্তক থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়া খবর/গুজব ইন্টারনেটে প্রচার করা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
হেল্পলাইন ১৬১২২ (বিদেশ থেকে +৮৮০ ৯৬১২৩ ১৬১২২) নম্বরে কল করে, কিংবা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্ভিস পেজ ‘ভূমিসেবা Land Service’ (www.facebook.com/land.gov.bd) থেকে কমেন্ট করে কিংবা মেসেজ (বার্তা) প্রেরণ করে ভূমি সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে। ভূমি সেবা গ্রহণ করা যাবে এবং ভূমিবিষয়ক অভিযোগ জানানো যাবে।
আরও পড়ুন: জমি মালিকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে: ভূমিমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা একমাত্র জাতীয় সংসদের। আইন প্রণয়নের ঘটনা জাতীয় জীবনে উল্লেখযোগ্য সংবাদ, যা সাধারণত দেশের সব জাতীয় গণমাধ্যমে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়। এছাড়া নতুন আইন প্রণয়নের পর তা সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সব সরকারি পোর্টালে প্রকাশ করা হয়।’
এমএইচআর/এমএইচআর/জেআইএম