ক্ষতিপূরণের বিধান রেখে পায়রা বন্দর প্রকল্প বিল পাস


প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

৬০ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ড কমিশনার অফিসে প্রকাশ্যে জেলা প্রশাসকের হাত থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিধান রেখে পায়রা বন্দর প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) আইন-২০১৬ বিল সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। আইনে দায় মুক্তির বিধানও রাখা হয়েছে।

জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে বুধবার সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আকারে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। গত ২ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন হয়েছিল। বিলটির উপর আনীত ৪৩টি দফাওয়ারি  ৯টি সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বলা হয়, এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশ বা গৃহীত কোনো কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে কোনো মামলা বা দরখাস্ত গ্রহণ করবে না এবং এই ধারার অধীন কোনো কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো আদালত কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে না। এছাড়া অধিগ্রহনাধীন কোনো ভূমির উপর কোনো ঘরবাড়ি নির্মাণ বা ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হলে ভূমি মালিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবেন না। একইভাবে মাটি কেটে বা অন্যকোনোভাবে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হলে সরকার ভূমি মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে।

বিলের উদ্দেশ্যে ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২ (২ নং অধ্যাদেশ) মোতাবেক দেশে প্রচলিত ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু সে আইনে অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির হলে আপিল করার বিধান নেই। এ আইনে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এইচএস/একে/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।