চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে মৃত ৫ জনকে একসঙ্গে শ্মশানে দাহ
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে একসঙ্গে শ্মশানে দাহ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের সৎকারের কাজ শেষ হয়।
স্থানীয় পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. একতেহার হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মৃতদের সৎকারে মুখাগ্নি করার সময় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সৎকার শেষ হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু রায়হান দোলন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় নিহতদের সৎকার ও পরিবারের আর্থিক সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে নগদ এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিকটাত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতের আগুনে প্রাণ গেলো একই পরিবারের ৫ জনের
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর পারুয়া গ্রামের মহাজনপাড়ার অটোরিকশাচালক খোকন বসাকের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে খোকন বসাককে আহত অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে।
তবে ঘরের ভেতরে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হন খোকন বসাকের বাবা কাঙ্গাল বসাক (৭০), মা ললিতা বসাক (৬০), স্ত্রী লাকী বসাক (৩২), ছেলে সৌরভ বসাক (১২) ও মেয়ে সায়ন্তী বসাক (৪)। খোকন বসাক বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন>> স্ত্রী-কন্যার পর চলে গেলেন মনজুরুল, মৃত বেড়ে ৪
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, রাত ২টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করি। ভোর ৪টায় আগুন নির্বাপণ হয়। তবে আগুনে একই পরিবারের পাঁচজন পুড়ে মারা যান।
তিনি বলেন, খোকন বসাকের ঘরটি ছিল সেমিপাকা। পাঁচটি থাকার কক্ষ ছিল। কিন্তু তাদের ঘর থেকে বের হওয়ার দরজা ছিল একটি। বের হওয়ার দরজার সামনে ছিল রান্নাঘর। রাতে রান্নাঘরের চুলার ওপর লাকড়ি শুকাতে দেওয়া হয়েছিল। ওই লাকড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন রান্নাঘরে ছড়িয়ে পড়ার পর তারা খবর পান। সেসময় ওই দরজা দিয়ে বের হতে না পেরে সবাই একটি কক্ষে গিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন। একস্থানেই সবাই দগ্ধ হন।
ইকবাল হোসেন/এএএইচ/এএসএম