খাবারে কাপড়ের রং, ‘কাচ্চি ভাই’কে ২ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২৩

 ফুড গ্রেডের নামে খাবারে কাপড়ের রং ব্যবহার করার অপরাধে রাজধানীর বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয়ের অফিস প্রধান সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল, সহকারী পরিচালক তাহমিনা বেগম।

আরও পড়ুন >> ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল ভেজাল গুড়

জব্বার মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, নামিদামি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে ‘কাচ্চি ভাই’ খাবারে ক্ষতিকর কাপড়ের রং মেশাচ্ছিল। যা হাতেনাতে ধরা হয়েছে। রাজধানীতে তাদের বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে।

fine2.jpg

জানা গেছে, অভিযানের খবরে কাপড়ে ব্যবহারের রংয়ের ডিব্বা ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে দেন কাচ্চি ভাইয়ের কর্মরত একজন। সেটি দেখে ফেলেন ভোক্তা কর্মকর্তা। সসের ডিব্বার মধ্যে রাখা হয়েছে এসব রং। ময়লার ডাস্টবিন থেকে ফেলে দেওয়া রংয়ের ডিব্বা বের করে আনেন ভোক্তা কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন >> কলাবাগানের মামা হালিম রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে মামলা

এরপর কাচ্চি ভাইয়ের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার এটাকে ‘ফুড গ্রেড’ রং হিসেবে দাবি করেন। সঙ্গে সঙ্গে সেই রং দুটি গ্লাসে ঢেলে দায়িত্ব থাকা ম্যানেজার ও তার সহকারীকে খেতে বলেন ভোক্তা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার মণ্ডল। যেহেতু ফুড গ্রেড সেহেতু খেলে ক্ষতি হবে না। তবে সরাসরি গ্লাসে খেতে রাজি হননি তিনি। পরে কাচ্চির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে বলা হয়। তাতেও রাজি হননি। অতপর নিজ মুখে স্বীকার করেন এগুলো কাপড়ে ব্যবহারের রং। যা ফুড গ্রেড বলে ক্রেতাদের খাইয়ে আসছিলেন।

আরও পড়ুন >> মসলায় কাপড়ের রং মিশিয়ে বিক্রি, ২ লাখ টাকা জরিমানা

এছাড়া ফ্রিজের মধ্যে রান্না করা ও কাঁচা খাবার পাওয়া যায়। সবশেষ ভোক্তা কর্মকর্তাদের কাছে নিজেদের ভুল স্বীকার করেন কাচ্চি ভাইয়ের দুই কর্মকর্তা। ভোক্তা স্বার্থবিরোধী অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় কাচ্চি ভাইকে ভোক্তা অধিকার আইনের দুই ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া জব্দকৃত রং ধ্বংস করা হয়।

এনএইচ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।