বিশ্ব ইজতেমা
তাবলিগের দুপক্ষের উসকানি রোধে মসজিদে প্রচারণার নির্দেশ
বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য রোধে সারাদেশের মসজিদে প্রচারণার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বিভাগীয় কার্যালয়ের সব পরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার (৮ জানুয়ারি) ইজতেমা নিয়ে অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার ৯৫ শতাংশ প্রস্তুতি সম্পন্ন
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার সূত্র ধরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চিঠিতে বলা হয়, ঢাকার অদূরে টঙ্গীতে আগামী ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি ২০২৩ দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু ও সফলভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুণ্ন রাখা, ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি সুরক্ষা এবং বিদেশিদের কাছে দেশের ভাবমর্যাদা সমুন্নত রাখতে সব ধরনের বিভ্রান্তিকর, বিদ্বেষমূলক ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া পরিহার করা এবং দেশের সব মসজিদে উভয়পক্ষের দেশি-বিদেশি জামাত/মুসল্লির অবস্থান নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি।
এমতাবস্থায়, আগামী ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি প্রথম পর্বে এবং ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু ও সফলভাবে অনুষ্ঠানের স্বার্থে অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড পরিহার করার বিষয়ে পরিচালক ও উপ-পরিচালকদের আওতাধীন এলাকার মসজিদে জুমার প্রাক-খুতবা এবং ওয়াক্তিয়া নামাজের আগে-পরে মসজিদের মাইক থেকে নিয়মিতভাবে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয় চিঠিতে।
তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ইজতেমার প্রথম পর্ব পরিচালনা করবে জোবায়ের গ্রুপ, দ্বিতীয় সা’দ
কাকরাইল মসজিদের আহলে শূরা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের দেওয়া ওই চিঠিতে ইজতেমার কার্যক্রমে অপপ্রচার, উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিপক্ষ দল (জুবায়েরপন্থি) ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সরকার টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩-১৫ জানুয়ারি (মাওলানা জুবায়েরপন্থি) এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০-২২ জানুয়ারি (মাওলানা সাদপন্থি) অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রথম পর্বের আয়োজকদের অনেকে এবং কিছু কিছু মসজিদের ইমাম জুমার বয়ান ও অন্যান্য ওয়াজে একটি মাত্র ইজতেমা হবে এবং সেটি প্রথম পর্বের বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়া অনেক মসজিদে দেশি-বিদেশি জামাত উঠতে বাধা দিচ্ছে।
আরএমএম/এমকেআর/এএসএম