বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরায় বিজয়ের পূর্ণ আনন্দ পেয়েছিল জাতি: শারফুদ্দিন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেছিলেন বলেই বাঙালি জাতি বিজয়ের পূর্ণ আনন্দ পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তার শাসনামলের সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই অন্ধকার থেকে দেশকে আবার আলোর পথে পরিচালিত করেন।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিএসএমএমইউয়ের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সামনে রেখে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছরে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডালার। বার্ষিক বাজেট ছয় লক্ষাধিক কোটি টাকা। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল বাস্তবায়ন হয়েছে। দারিদ্র্যসীমা ২০ শতাংশের মতো। বঙ্গবন্ধুকন্যা ক্ষমতায় রয়েছেন বলেই এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ যেমন নিরাপদ থাকবে তেমন উন্নয়নের ধারাও অব্যাহত থাকবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে থেকে মুক্ত হয়ে বিদেশ থেকে ফোনে বঙ্গমাতার কাছে সর্বপ্রথম যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের খবর নিয়েছিলেন, এক ছাত্রলীগ নেতার খবর নিয়েছিলেন, পরে তিনি নিজ পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন। বঙ্গবন্ধু এমনই এক ব্যতিক্রমী মহান নেতা ছিলেন। তিনি মুক্ত হয়েই ভারতের মাটিতে অবস্থান করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্ধিরা গান্ধীর কাছে বাংলাদেশ থেকে ভারতের সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার সমগ্র জীবনে অভিষ্ঠ লক্ষ্য থেতে বিচ্যুত হননি। আমাদের মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অবশ্যই বাস্তবায়ন হবে।
সভায় মুখ্য আলোচক গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও নিটোরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে ভালোবাসতেন, বঙ্গবন্ধু চিকিৎসকদের যে কতটা ভালোবাসতেন তা বলে বোঝানো যাবে না।
আলোচনা সভায় বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সুরাইয়া বেগম, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামান, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ প্রমুখসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল।
এএএম/এমকেআর/এএসএম