রমনায় পহেলা বৈশাখ ছাড়া আর কোনো অনুষ্ঠান নয়


প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

১ লা বৈশাখ ছাড়া রমনা পার্কে কোন ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক সেমিনারে ইদানিং সময়ে পার্কের অভ্যন্তরীণ কিছু  কার্যক্রম বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রমনা পার্কের সৌন্দর্য, উপযোগিতা ও ঐতিহ্যকে হুমকির সম্মুখীন করছে` পরিবেশবিদদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

মন্ত্রী বলেন, রমনার সৌন্দর্য বর্ধনে পরিবেশবাদিসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হোক। যে কমিটি রমনার সৌন্দর্য বর্ধনে যে সমস্যাগুলো আছে তা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। এবং এর অর্থায়ন করবে মন্ত্রণালয়।
যারা এই পার্কে ব্যায়ম করতে যায় তারাও একটি নির্দিষ্ট জায়গা দখল করে ব্যামাগার তৈরি করে ফেলেছে। রমানার সৌন্দর্য প্রস্ততা বৃদ্ধিতে এটি যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে কথাটি সংশ্লিষ্টদের বুঝানোর দায়িত্ব পরিবেশবাদিদেরই নিতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।

`রমনা পার্ক: সৌন্দর্য, উপযোগিতা ও ঐতিহ্য সুরক্ষা’’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যনার্স (বিআইপি), বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, সমন্বয় আর্কিটেক্টস, তরুপল্লব ও পরিবর্তন চাই`। সেমিনারে মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি তুগলক আজাদ।

লিখিত বক্তব্যে জানানো  হয়, রমনা বটমূল ব্যতীত সম্পূর্ণ পার্ক জুড়ে অনুষ্ঠান রমনা পার্কের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। পার্কে অব্যাহতভাবে বিবিধ কন্সট্রাকশন সবুজকে বিনষ্ট করেছে।

পার্কে ফুলজ ও নান্দনিক গাছের বদলে, বনজ ও ফলদ গাছের বিস্তার বাড়ছে, যা পার্ক হিসাবে রমনার সৌন্দর্য, উপযোগিতা ও ঐতিহ্যকে ব্যাহত করছে। বৃক্ষশোভিত স্থান ঘাসে ঢাকা উন্মক্ত লন-একটি অন্যটির পরিপূরক। কিন্তু ইদানিং সমস্ত উন্মক্ত স্থান এবং লনে অপরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানো হচ্ছে ।

রমনা পার্ক বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন। পার্কের বর্তমান এরিয়া ৬৮দশমিক ৫ একর। লেক এরিয়া ৮৭৬ একর উল্লেখ করে সেমিনারে বলা হয়, বাংলাদেশ জলজ ফুলের দেশ। জলজ ফুল ` সাদা শাপলা` আমাদের জাতীয় ফুল।রমনা লেক দেশের জলজ ফুল দিয়ে সুশোভিত করলে দেশের ঐতিহ্য, জীব বৈচিত্র রক্ষিত হবে।

ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে সেমিনারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, নগরপরিকল্পনাবিদ, গবেষক, পরিবেশবিদরা উপস্থিত ছিলেন।

এএস/একে/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।