মাদারীপুর থেকে ঢাকায় রবিউল
কোনো কাজ নাই, মেট্রোরেলে চড়তে এসেছি
রবিউল ইসলাম। মাদারীপুরের শিবচর থেকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এসেছেন ঢাকায়। এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন আগারগাঁও এলাকায়। মেট্রোরেলে চড়তে শুক্রবার সকালেই হাজির হয়েছেন স্টেশনে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই রবিউলের মতো এমন হাজারো মানুষের ভিড় দেখা গেছে আগারগাঁও স্টেশনে ।
রবিউল ইসলাম বলেন, মাদারীপুর থেকে এসেছি। ঢাকায় কোনো কাজ নাই, মেট্রোরেলে চড়তে এসেছি। প্রথম দিন ভিড় হবে ভেবে দ্বিতীয় দিনে এসেছি।
তার মতো অনেকেই শুধুই ভ্রমণের বিনোদন নিতে মেট্রোরেলে চড়তে এসেছেন।
আমিনুল ইসলাম এসেছেন শ্যামলী থেকে, সঙ্গে পুরো পরিবার। তিনি বলেন, মেট্রোরেলে চড়তে এসেছি পুরো পরিবার নিয়ে। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে এসেছি। পরিবার নিয়ে আনন্দ করতে, মেট্রোরেলে চড়তে এসেছি।
মেট্রোরেল নির্মাণের সময় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয়েছে মিরপুরবাসীর। সেই মিরপুরের সেনপাড়া থেকে এসেছেন শিমুল বিশ্বাস।
তিনি বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণের সময় সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেছি আমরা। ধূলায় বাসায় থাকতে পারিনি। অনেক সময় রাস্তায়ও অনেক ভোগান্তিতে পড়েছি। এমনও দেখা গেছে, রাত ১২টায় মেট্রোরেল নির্মাণের কারণে জটলায় পড়েছি।
গত বুধবার টিকিট কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। রাজধানীর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী মেট্রোরেল যাত্রা শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা। তিনিও টিকিট কেটে মেট্রোরেলে ওঠেন।
সেদিন উত্তরা উত্তর স্টেশনে দুটি ট্রেন ছিল। প্রথম ট্রেনটি বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরেরটায় যাত্রী হন তিনি। গতকাল (২৯ ডিসেম্বর) থেকে সব ধরনের মানুষ সুযোগ পাচ্ছেন মেট্রোরেলে চড়ার।
এমওএস/এমএইচআর/এমএস