তিনদিনের ছুটির কবলে দেশ, কমলাপুরে উপচেপড়া ভিড়
সাপ্তাহিক ছুটিসহ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন মিলিয়ে আগামী ২৩-২৫ ডিসেম্বর টানা তিনদিন সরকারি ছুটি। এই ছুটিতে গ্রামে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে পরিকল্পনা করেছেন রাজধানীবাসীর অনেকে। গ্রামে যাওয়ার অগ্রিম টিকিট কাটতে কমলাপুরে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই স্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তারা।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
স্টেশনে দেখা যায়, ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের আশায় ভোর থেকেই টিকিট কাউন্টারগুলোতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। কেউ দুটি, আবার কেউ কেউ চারটি করে টিকিট কাটছেন। পরিবারের মানুষদের নিয়ে গ্রামে যাবেন, তাই টিকিট পাওয়ার পর আনন্দ ফুটে ওঠে তাদের চোখেমুখে। নাগরিক ব্যস্ততা কাটিয়ে শীতের এই সময়ে কয়েকটা দিন গ্রামে কাটাতেই যাচ্ছেন বলে জানান তারা।
স্টেশনে কথা হয় মোস্তাফিজুর রহমান নামের একজনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, পরিবারের অনেকেই গ্রামে থাকেন। সামনে তিনদিনের ছুটি আছে। তাই বৃহস্পতিবার রাতে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি টিকিট পেয়েছি অনেক কষ্ট করে। ভোর ৬টায় এসেছি, টিকিট পেতে সাড়ে তিন ঘণ্টা লাগলো।
রাজশাহীগামীর বাসিন্দা রাশেদুল হাসান বলেন, রাজশাহী সদরে আমার বাড়ি। এই ছুটিতে পরিবার নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। ২২ ডিসেম্বর রাতের পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি টিকিট নিতে এসেছিলাম। আশঙ্কা করেছিলাম ভিড় হবে, স্টেশনে এসে তাই দেখলাম।
তিনি বলেন, সারাবছর তো ঢাকায় কাজের মধ্যেই ডুবে থাকি। সেই কবে থেকে মা ডাকছেন শীতের পিঠাপুলি খাওয়াবেন বলে। সামনে তিনদিনের ছুটি, এর চেয়ে আর বড় সুযোগ হয় না। তাই কষ্ট হলেও শীতের সকালে এসেছিলাম টিকিট কিনতে। টিকিট পেয়েছি, এখন এখান থেকেই অফিসে যাবো।
এদিকে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়েছেন অনেকে। তাদের একজন দিনাজপুরের বাসিন্দা জুববায়ের হাসান।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমার সামনে ১০ জন থাকতেই টিকিট শেষ বলে জানানো হলো কাউন্টার থেকে। চোখের সামনে টিকিট শেষ হতে দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, আজ প্রচুর ভিড় হয়েছে। টিকিট থাকা পর্যন্ত সবাই টিকিট পেয়েছেন। আমাদের নিয়মিত টিকিটের জন্য সবসময় চাপ থাকে। তার মধ্যে আজ বেশি চাপ পড়েছে। উত্তরবঙ্গের ট্রেনের চাপ বেশি পড়েছে। স্টেশনে আজ তিন থেকে চার হাজারের বেশি মানুষ এসেছিলেন।
আরএসএম/ইএ/জেআইএম