বিএনপি নেতা ইশরাককে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতারে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে গোলযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে এ অভিযান চলছে।
বিএনপির সমাবেশের পরদিন ১১ ডিসেম্বর ইশরাকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান, বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গোপীবাগে ইশরাকের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তবে অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জিয়াউল আহসান তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ইশরাকসহ এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে এ নিয়ে মোট পাঁচটি মামলা হলো। ওই সমাবেশের আগে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও রমনা থানায় চারটি মামলা হয়। এসব মামলায় বিএনপির প্রায় আড়াই হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার এ মামলায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের আসামি করে বলা হয়েছে, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশের আগের রাতে গোলাপবাগ ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে তারা গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালান। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়, বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা তখন ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায়।
বোমাবাজির পাশাপাশি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা ও হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশকে মারধরের অভিযোগে এ মামলা হয়েছে। মামলায় ইশরাক হোসেনসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
ওই ১৮ জনের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নবীউল্লাহ নবী, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পাভেল শিকদার, বিএনপি নেতা মো. জামসেদুল আলম শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন জিকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাইসুল হাসান হবি, বিএনপি নেতা শুভ হাসান বাবু ও মো. কাউসার খানসহ আরও কয়েকজন।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গনি চৌধুরী। তিনি বলেন, সোমবার বিকেল থেকে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক ও তার ব্যক্তিগত সহকারীর হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
তবে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইশরাক। তিনি ভাষণও দেন।
টিটি/কেএসআর/এমএস