‘মাতৃভাষা’য় প্রাথমিক শিক্ষা চালুর দাবি আদিবাসীদের
আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের জন্য স্ব-স্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালুর দাবি জানিয়েছে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।
পাবর্ত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগরের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে ৪৫টিরও অধিক আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী, পাবর্ত্য চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নওগাঁ এবং ময়মনসিংহ জেলায় বসবাস করছে। এসব আদিবাসী গোষ্ঠীর স্বতন্ত্র ভাষা, বর্ণমালা থাকা সত্ত্বেও সরকার কেবল বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রাখছে। যা আদিবাসীদের নিজস্ব কৃষ্টি কালচারের পরিপন্থী।
তারা আরো বলেন, ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পাবর্ত্য চট্টগ্রাম চুক্তির `খ` খন্ডের ৩৩(খ) অনুযায়ী পাবর্ত্য জেলা আইন-১৯৯৮ এর ৩৬(ঠ) ধারায় আদিবাসীদের নিজস্ব মাতৃভাষা প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের আইনগত স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তাই আমরা পাবর্ত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে পাবর্ত্য এলাকায় আদিবাসীদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগের দাবি জানাচ্ছি।
সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে ৪টি দাবি তুলে ধরেন তারা। দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে, আদিবাসীদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে আদিবাসীদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু; আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলোতে শিক্ষার প্রাসারে উদ্যোগ নিতে হবে; প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন ও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি; বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনপূর্বক শিক্ষাক্ষেত্রে আদিবাসী সংশ্লিষ্ট সমাজব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্তি করতে হবে। একইসঙ্গে পাঠ্য-পুস্তকে আদিবাসীদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, রূপকথা, উপকথা, কিংবদন্তী ও ঐতিহ্যসমূহকে সন্নিবেশিত করতে হবে এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এমএইচ/আরএস/পিআর