পাকিস্তানের দূতাবাস গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : নৌমন্ত্রী

ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের অবিলম্বে বিচার দাবি করেন তিনি।
বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন নামের একটি সংগঠন ওই সমাবেশের আয়োজন করে।
শাজাহান খান বলেন, স্বাধীনতার সাড়ে চার দশক পর যখন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে তখন পাকিস্তানের গা জ্বালা করছে। পাকিস্তান সরকার মিথ্যাচার করে বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের কোনো যুদ্ধ হয়নি। যুদ্ধ নাকি ভারতের সঙ্গে হয়েছে। পাকিস্তানের এমন মিথ্যাচারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও।
কোনো ষড়যন্ত্র যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, খালেদা মানুষ হত্যা করে যুদ্ধাপরাধরীদের রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। হরতাল-অবরোধ দিয়ে তিনি বলেছিলেন, বিজয়ের বেশে ঘরে ফিরবেন। তিনি (খালেদা) ঘরে ফিরেছেন ঠিক, তবে পরাজিত সৈনিকের বেশে। মানুষ হত্যার অপরাধে তারও বিচার করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধে অপরাধের জন্য পাকিস্তান সরকারের ক্ষমা চাওয়ার কথা ছিল এবং এর বিনিময়ে পাকিস্তানের অপরাধী সেনাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আজও পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো প্রকার ক্ষমা চায়নি। বরং বিভিন্ন সময় কটুক্তি করে মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের আটকে পড়া সম্পত্তি ফিরে আনারও দাবি জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করলেই বিচারের আওতায় আনতে হবে এমন দাবি তুলে তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাস করেন না তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। আগামী ২ মার্চ প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং ৩১ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন শাহাজাহান খান।
সমাবেশে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের সদস্য সচিব অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের নেতা কামাল পাশাসহ বিভিন্ন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এএসএস/এমজেড/এমএস