বই পড়ার বিকল্প উৎস: দুই বছরে লাগবে আরও ৩৮ কোটি
দেশের ৬৪ জেলার ৩৬৮টি উপজেলা ও থানার তিন হাজার ২০০ স্পটে সাধারণ মানুষ বিশেষত নারী ও শিশু-কিশোরদের জন্য বই পড়ার বিকল্প উৎস তৈরি করবে সরকার। ৭৬টি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ইউনিট পরিচালনার মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এ লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ‘দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আগামী দুই বছর প্রকল্পের কাজ চলমান রাখতে অতিরিক্ত আরও ৩৮ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। প্রকল্প এলাকায় প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার জন পাঠকের সৃজনশীল বইয়ের পাঠাভ্যাসের উন্নয়ন ঘটানো হবে।
এরই মধ্যে প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করেছে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বারবার বেড়েছে। মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৩৬ কোটি ৯৭ লাখ। প্রকল্পটি জুলাই ২০১৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ মেয়াদে বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ ছিল। এরপর আবারও প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৭৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত।
নতুন প্রকল্পের ব্যয় প্রস্তাব করা হয় ১১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, একই সঙ্গে মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল নাগাদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে মূল প্রকল্প থেকে সংশোধিত প্রকল্পে ৭৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
দেশে বিপুল সংখ্যক উচ্চমূল্যবোধসম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উৎসাহ দেওয়া ও সুযোগ বাড়ানো হবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
‘দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ) এস. এম কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, এটা প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি বলা যাবে না। মূল কথা প্রকল্পের কাজ আরও দুই বছর চলমান রাখতে আরও ৩৮ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এটা অন্যান্য প্রকল্পের মতো না, এটাকে কর্মসূচি বলা যায়। আর এটা চলমান রাখতে ব্যয় লাগবে।
এমওএস/এমকেআর/এমএস