দৈনিক গড়ে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সংকট
দেশে চাহিদার বিপরীতে দৈনিক গড়ে গ্যাস সংকটের পরিমাণ প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। আর বর্তমানে দেশে দৈনিক গড়ে দুই হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী গ্যাসের মজুতের বিষয়ে কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে এই প্রশ্নোত্তর পর্ব হয়।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য গ্যাস মজুতের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৫৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত গ্যাসের পরিমাণ ১৯ দশমিক ৫৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট ৯ দশমিক শূন্য ৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। দৈনিক গড়ে দুই হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের বিবেচনায় ১০ দশমিক ৮ বছর এই গ্যাস ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, গ্যাসের অপচয় রোধে আবাসিক পর্যায়ে ৪০ লাখ ৬২ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। বাকিগুলোতে পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে প্রিপেইড মিটার।
সংসদ সদস্য কাজী নাজিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণিতে সংযোগ দেওয়া অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী চাহিদা দৈনিক গড়ে তিন হাজার ৭০০ ঘনফুট। এর বিপরীতে দৈনিক উৎপাদন গড়ে দুই হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। অবকাঠামোগত সক্ষমতা থাকলেও বৈশ্বিক সংকটে দৈনিক কমবেশি ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট সমপরিমাণ এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে। চাহিদার বিপরীতে গ্যাস সংকটের পরিমাণ দৈনিক গড়ে প্রায় ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
লিটারপ্রতি ২১ টাকা লোকসান দিচ্ছে বিপিসি
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজেল বিক্রিতে বিপিসি লিটারপ্রতি ২১ টাকা লোকসান দিচ্ছে। ভবিষ্যতে যখনই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমবে তখন বাংলাদেশেও মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
এইচএস/জেডএইচ/এমএস